শুভেন্দু অধিকারী। — ফাইল চিত্র।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর সংক্রান্ত একটি মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তিনি জানান, রাজ্যের ওই আবেদন তিনি শুনবেন না। প্রধান বিচারপতির কাছে ওই মামলাটি পাঠিয়েছেন বিচারপতি।
খলিস্তানি বিতর্কে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে চেয়ে আদালতে আবেদন করে রাজ্য। রাজ্যের ওই আবেদনটি শুনানির জন্য যায় বিচারপতি সেনগুপ্তের এজলাসে। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর সংক্রান্ত অন্য মামলাগুলি ওই এজলাসেই শুনানি হবে। আগামী ১০ এপ্রিল পরবর্তী শুনানি।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ শুভেন্দুর বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশের দায়ের করা ২৬টি এফআইআর-এ স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। জানিয়েছিল, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নতুন মামলা করতে গেলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে একের পর এক এফআইআর দায়ের হয়েছে। সেই নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। আদালতের কাছে তাঁর আবেদন ছিল, হয় এফআইআরগুলি খারিজ করে দেওয়া হোক, নয়তো অভিযোগের তদন্ত করুক সিবিআই। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি মান্থার পর্যবেক্ষণ ছিল, শুভেন্দু রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি মানুষের ভোটে নির্বাচিত। পুলিশ নিজে অথবা অন্য কারও নির্দেশে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ এনে জনগণের প্রতি বিরোধী দলনেতার কর্তব্য স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে।
সেই কারণে নতুন এফআইআর করতে চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। বিচারপতি সেনগুপ্ত জানালেন এই নিয়ে আবেদন তিনি শুনবেন না। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর নেতৃত্বে গত ২০ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালিতে গিয়েছিল বিজেপি বিধায়কদের একটি প্রতিনিধি দল। সেই সময় এক শিখ আইপিএস অফিসারকে লক্ষ্য করে ‘খলিস্তানি’ মন্তব্য করা হয় বলে অভিযোগ। তা নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক।
এই ঘটনায় ভবানীপুর থানায় একটি এফআইআর দায়ের হয়। গুরমীত সিংহ নামে এক ব্যক্তি থানায় জানান, ওই ঘটনায় শুধু শিখ পুলিশ কর্তাকে ধর্মীয় অবমাননাই করা হয়নি, পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা এবং হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। ভবানীপুর থানায় দায়ের হওয়া এফআইআরে অবশ্য বিজেপির কোনও নেতার নামের উল্লেখ করা হয়নি। বলা হয়েছিল, বিজেপির কোনও নেতা অথবা সদস্য ওই মন্তব্য করেছেন। সেই ‘অজানা’ বিজেপি নেতা অথবা সদস্যের বিরুদ্ধেই দায়ের করা হয়েছিল এফআইআর। তার পর ওই ঘটনায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে চায় রাজ্য। তারা কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল।