বিচারপতি অমৃতা সিংহ। —ফাইল চিত্র।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিংহের এজলাসে রাজ্যের হয়ে সওয়াল করতে পারবেন না অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্ত।
বুধবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি জানান, এই মামলায় অন্য এক অভিযুক্তের হয়ে বর্তমান এজি সওয়াল করেছেন। সে ক্ষেত্রে এজি রাজ্যের হয়ে সওয়াল করলে বিষয়টি ‘স্বার্থের সংঘাত’ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই এ ক্ষেত্রে এজি-র সওয়াল করা ঠিক নয়। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’-র আইনজীবী হিসেবে হাই কোর্টে সওয়াল করেছিলেন কিশোর। প্রসঙ্গত, প্রাথমিক মামলায় বিচারপতি সিংহের নির্দেশেই এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি ‘কাকু’-র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এ দিন অপেক্ষারত চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যত নিয়েও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিংহ। তাঁর পর্যবেক্ষণ, যে চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগের অপেক্ষায় বসে আছেন তাঁদের জন্য কিছু করা প্রয়োজন। রাজ্যের কৌঁসুলি শীর্ষণ্য বন্দ্যোপাধ্যায় কোর্টে জানান, এই চাকরিপ্রার্থীদের জন্য রাজ্য সরকার তিন হাজার অতিরিক্ত পদ (সুপার নিউমেরিক পোস্ট) তৈরি করেছিল। কিন্তু আদালত তা স্থগিত করে দিয়েছে। এ দিন বিচারপতি সিংহের নির্দেশ, মামলাকারী এবং রাজ্যের কৌঁসুলিরা একত্রে বসে সমাধান খোঁজার চেষ্টা করবেন। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানিতে আদালতকে সেই সমাধান সূত্র সম্পর্কে জানাতে হবে।
এ দিন তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে ফের রিপোর্ট মুখবন্ধ খামে বিচারপতির কাছে জমা দিয়েছে ইডি। বিচারপতি জানিয়েছেন, রিপোর্ট খতিয়ে দেখবেন তিনি। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে রমেশ মালিক এবং সৌমেন নন্দী নামে দুই চাকরিপ্রার্থীর করা মামলা দু’টি প্রথমে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে বিচারাধীন ছিল। তিনি-ই সিবিআই তদন্ত-সহ একগুচ্ছ কড়া নির্দেশ দেন। পরবর্তী কালে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা করেন। সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাথমিক নিয়োগের এই দু’টি মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ অনুসারে ওই দু’টি মামলা বিচারপতি সিংহের এজলাসে আসে। আইনজীবীদের একাংশের পর্যবেক্ষণ, বিচারপতি সিংহ এই মামলায় একের পর এক কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে বিপাকে পড়েছেন ‘অনেকেই’।