Raninagar-2 Panchayat Samiti

স্থায়ী সমিতি গঠন না হওয়া পর্যন্ত বিরোধীদের গ্রেফতার নয়, রানিনগর নিয়ে নির্দেশ হাই কোর্টের

১১ সেপ্টেম্বর বিচারপতি সিংহ রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটি গঠনের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন। ফলে সভাপতি নির্বাচিত হলেও সেখানে স্থায়ী সমিতি নির্বাচন থমকে যায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৪:১১
Share:

বিচারপতি অমৃতা সিংহ। — ফাইল চিত্র।

মুর্শিদাবাদের রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটি নির্বাচন কবে করানো হতে পারে, সে বিষয়ে রাজ্যের মত জানতে চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। এই মামলায় শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিংহের নির্দেশ, আগামী মঙ্গলবারের (১৯ সেপ্টেম্বর) মধ্যে রাজ্যকে জানাতে হবে নতুন করে কবে নির্বাচন করানো হবে। সেই সঙ্গে বিচারপতির নির্দেশ স্থায়ী সমিতি গঠন পর্যন্ত বিরোধী কংগ্রেস এবং বাম সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ।

Advertisement

গত ১১ সেপ্টেম্বর বিচারপতি সিংহ রানিনগর-২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটি গঠনের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন। ফলে সভাপতি নির্বাচিত হলেও সেখানে স্থায়ী সমিতি নির্বাচনের কাজ থমকে যায়। ডোমকলের মহকুমা শাসককে হাই কোর্ট জানিয়েছিল, ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী কমিটি গঠনের বৈঠক করা যাবে না। শুক্রবারের শুনানিতে এ বিষয়ে রাজ্যের মত জানতে চাইলেন বিচারপতি।

সভাপতি নির্বাচনে রানিনগরে জিতেছেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী। বিরোধীদের অভিযোগ, স্থায়ী সমিতি গঠন করতে চেয়ে পুলিশকে ব্যবহার করে বিরোধীদের নিশানা করছে শাসকদল। স্থায়ী সমিতি গঠনের জন্য গত সোমবার দুপুর ১২টায় বৈঠক ডেকেছিলেন তৃণমূলের সদস্যেরা। তার আগেই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদে সদ্য নির্বাচিত কংগ্রেস সদস্য কুদ্দুস আলিকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলেও হাই কোর্টে অভিযোগ জানানো হয়। সব মিলিয়ে কংগ্রেসের ছ’জন সদস্যের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। গ্রেফতারি এড়াতে তাঁরা পলাতক। আদালতে কংগ্রেস জানায়, ওই সদস্যেরা ভোটাভুটিতে অংশ নিতে চান।

Advertisement

ওই অভিযোগ শোনার পরেই স্থায়ী সমিতি নির্বাচনে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিংহ। রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতির মোট সদস্য সংখ্যা ৪২। এই পঞ্চায়েত সমিতিতে বাম-কংগ্রেস জোট সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও পরে কয়েক জন সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। গত শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সভাপতি নির্বাচনে জয়ের পরে কংগ্রেস এবং বাম কর্মী-সমর্থকেরা মিছিল বার করলে অশান্তি ছড়িয়েছিল রানিনগরে। তৃণমূল এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তার পরেই পুলিশ বেছে বেছে বিরোধীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে বলে অভিযোগ। গ্রেফতার করা হয় কুদ্দুস-সহ ৩১ বিরোধী নেতা-কর্মীকে। বৃহস্পতিবার জামিন পান কুদ্দুস।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement