বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে যাচ্ছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতা হাই কোর্ট সূত্রে খবর, ১৫ দিনের জন্য সেখানে থাকবেন তিনি। এই ক’দিন সার্কিট বেঞ্চে মামলার বিচার করবেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ফলে আপাতত ১৫ দিনের জন্য হাই কোর্টে স্কুলে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে করা মামলার শুনানি হচ্ছে না তাঁর বেঞ্চে। ওই মামলাগুলি আগামী ১৭ অগস্ট থেকে ফের শুনানির জন্য ওঠার কথা।
টেট এবং এসএসসি-র নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে করা মামলাগুলি বিচারাধীন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। ওই মামলাগুলিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এখন সেগুলিতে তদন্ত করছে ইডি-ও। তারা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর ‘ঘনিষ্ঠের’ ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করেছে। এর পরই মামলায় ইডিকে যুক্ত করেছে হাই কোর্ট। যে হেতু মামলাগুলি আদালতের নজরদারিতে হচ্ছে, তাই নিয়ম করে এর তদন্তের উপর দৃষ্টি রেখে চলেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই মতো গত সপ্তাহে সিবিআই ও ইডি-র কাছে তদন্ত রিপোর্ট চেয়েছেন তিনি। রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছেও। মেধাতালিকার পর আদালতে তাদের নিয়োগ তালিকা বিস্তারিত আকারে জমা দেওয়ার কথা।
নিয়োগ মামলার সঙ্গে জড়িত এক আইনজীবী জানান, জলপাইগুড়ি বেঞ্চে যেতে হবে জেনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এই মামলাগুলির শুনানি পিছিয়ে দিয়ে থাকতে পারেন। কারণ, এখন ওই মামলাগুলির কোনওটাই উঠছে না। ১৬ অগস্টের পর থেকে শুনানির দিন রয়েছে। প্রসঙ্গত, দু’সপ্তাহ পর সার্কিট বেঞ্চ থেকে ফিরে আসার কথা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। তার পর তাঁর এজলাসে ওঠার কথা, স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি অভিযোগ মামলায় সিবিআই এবং ইডির তদন্ত রিপোর্ট, পর্ষদের নিয়োগ তালিকা, টেটের প্রশ্ন ভুলের অভিযোগ-সহ হাই কোর্টের ‘রোস্টার অনুযায়ী তালিকা’র অন্যান্য মামলা। এ ছাড়া ওই সময় খোলা হতে পারে পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এবং তাঁর পরিবারের সম্পত্তির হলফনামা। যদিও তা ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের উপর নির্ভর করবে।
কলকাতা হাই কোর্টের অধীনে জলপাইগুড়ি এবং পোর্ট ব্লেয়ারে দু’টি সার্কিট বেঞ্চ রয়েছে। হাই কোর্ট থেকে বিচারপতিরা সেখানে গিয়ে মামলার বিচার করে আসেন। সোমবার জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে দু’টি ডিভিশন-সহ মোট ছয়টি বেঞ্চ বসছে। সেই তালিকায় রয়েছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। হাই কোর্ট সূত্রে খবর, এখন ১৫ দিনের জন্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে সেখানে পাঠানো হচ্ছে। ‘রোস্টার’ অনুযায়ী প্রাথমিক, মাদ্রাসা এবং জরুরি পণ্য সংক্রান্ত মামলা শুনবেন তিনি।