প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি স্কুলে শূন্যপদের নিয়োগে আদালত হস্তক্ষেপ করছে বলে যে অভিযোগ তুলছেন, তা সঠিক নয়। স্কুলে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শূন্যপদের নিয়োগে কোনও বাধা নেই। শুক্রবার এ কথা জানালেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
স্কুলে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিবকে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং মাদ্রাসার স্কুলে কোথায় কত শূন্যপদ রয়েছে, তা হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। সেই মতোই শুক্রবার আদালতে ওই হলফনামা জমা দেওয়া হয়। দেখা যায়, মাধ্যমিকে ১৩,৮৪২টি শূন্যপদ রয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিকে রয়েছে ৫,৫২৭টি। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে প্রধানশিক্ষকের জন্য ২,৩২৫টি শূন্যপদ রয়েছে। সব মিলিয়ে শূন্যপদের সংখ্যা ২১ হাজার ৬৯৪টি।
এর পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই শূন্যপদগুলিতে নিয়োগ শুরু করা যেতে পারে। সেই প্রক্রিয়ায় কোনও আইনি বাধা নেই। সেই প্রেক্ষিতে বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘সংবাদমাধ্যম এবং বিভিন্ন জায়গায় দেখা গিয়েছে, রাজ্যের কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তি বলছেন, আদালতের হস্তক্ষেপের কারণে কোনও নিয়োগ করা যাচ্ছে না। কেন আদালতকে নিয়োগে বাধা হিসাবে দেখানো হচ্ছে? রাজনীতিকে বিচারব্যবস্থার আঙিনায় টেনে আনবেন না। এই সব মন্তব্য আদালত সব সময় সহ্য না-ও করতে পারে। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।’’
প্রাথমিক স্তরে কত শূন্যপদ রয়েছে, সে ব্যাপারে জানতে চান বিচারপতি। রাজ্যের তরফে ৩,৯৩৬টি শূন্যপদ থাকার সম্ভাবনার কথা জানানো হয় আদালতে। তবে এ-ও জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রাথমিকে শূন্যপদ তৈরির প্রক্রিয়া সেই অর্থে এখনও শুরু হয়নি। তার প্রেক্ষিতে স্কুল শিক্ষা দফতরের অধিকর্তাকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, কেন ওই শূন্যপদে নিয়োগ করা হচ্ছে না, তা আগামী ১৭ অগস্টের মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। ওই দিনই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।