Money Siphoning Case

উত্তরবঙ্গে ৫০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ, ইডি- সিবিআইকে তদন্ত-নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

গত তিন বছর ধরে এই আর্থিক তছরুপের তদন্ত করছিল সিআইডি। গ্রেফতার করা হয় সংস্থার পাঁচ জন আধিকারিকেও। তা সত্ত্বেও সিআইডির তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২৩ ০০:৫৮
Share:

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

অভিযোগ উঠেছিল ‘আলিপুরদুয়ার মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতি’ নামে একটি সংগঠন ওই জেলার প্রচুর মানুষের টাকা আত্মসাৎ করেছে। গত তিন বছর ধরে ওই আর্থিক তছরুপের তদন্ত করছিল সিআইডি। কিন্তু সিআইডির সেই তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সিআইডির কাছ থেকে নিয়ে তিনি ওই তদন্তের ভার দিয়েছেন ইডি এবং সিবিআইকে। আগামী ১২ অক্টোবর ওই দুই সংস্থাকে তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে আর্থিক তছরুপের এই ঘটনার শুনানি হয়। সেখানে মামলাকারীদের মধ্যে অন্যতম কল্পনা দাস সরকার অভিযোগ করেন, আলিপুরদুয়ার মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতিতে ২১ হাজার ১৬৩ জন টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। কল্পনার দাবি, এত জন বিনিয়োগকারী সব মিলিয়ে মোট ৫০ কোটি টাকা রেখেছিলেন। টাকা জমা দেওয়ার সময় সমিতি জানিয়েছিল, ওই টাকা বাজারে ঋণ হিসাবে খাটানো হবে। কিন্তু পরে টাকা ফেরত পাওয়ার সময় হলে বিনিয়োগকারীরা জানতে পারেন, সমিতিই ‘বিলুপ্ত’ হয়ে গিয়েছে। তিন বছর ধরে তদন্ত করার পরেও সিআইডিও খুঁজে বার করতে পারেনি কাদের ওই টাকা ঋণ হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। গ্রেফতার করা হয় সমিতির পাঁচ কর্তাকে। মামলাকারী আদালতে অভিযোগ করেন, ঋণ যদি দেওয়া হত, তাহলে গ্রহীতাদের নাম থাকত। কিন্তু সিআইডি গত তিন বছরে কারও নাম খুঁজে পায়নি। অর্থাৎ টাকা দেওয়া হয়নি কাউকেই। টাকা পাচার হয়ে গিয়েছে। এমনটাই দাবি কল্পনার।

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সিআইডিকে ভর্ৎসনা করে বৃহস্পতিবার বলেন, “এই আর্থিক তছরুপের ঘটনায় বিরাট প্রতারণা চক্র কাজ করেছে। প্রায় তিন বছর ধরে তদন্ত করার পরেও সিআইডি এই তদন্তের কিনারা করতে ব্যর্থ হয়েছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “সিআইডির হাত থেকে তদন্তের ভার সিবিআই এবং ইডিকে দেওয়া হচ্ছে। ২৫ অগস্ট থেকেই এই দুই সংস্থা তদন্ত শুরু করে দেবে। তদন্তের স্বার্থে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করা এবং প্রয়োজনে হেফাজতে নেওয়ার ব্যাপারেও তাদের পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে। সিআইডির আর তদন্ত করার কোনও প্রয়োজন নেই।”

Advertisement

পরবর্তী সময়ে কলকাতা থেকেও এই মামলার শুনানি চলবে। তদন্তকারী সংস্থা ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানিতে অংশ নিতে পারবে। বিচারপতি আরও বলেন, “তদন্তকারী সংস্থা যদি মনে করে আমার সার্কিট বেঞ্চে উপস্থিত থাকা প্রয়োজন, সে ক্ষেত্রে তারা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। প্রধান বিচারপতি অনুমতি দিলে প্রতি শনিবার এই মামলার শুনানিতে থাকতে আমি প্রস্তুত।” প্রায় দু’মাস পর আগামী ১২ অক্টোবর সিবিআই এবং ইডিকে আলাদা করে এই তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement