মেখলিগঞ্জের আদালতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে জলপাইগুড়ির এজলাস ছেড়ে সোজা মেখলিগঞ্জের আদালতে পৌঁছে গেলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কোচবিহারের জেলাশাসকের কাছে ওই ফুটেজ চেয়েছিলেন তিনি। মেখলিগঞ্জের বিডিও তা নিয়ে বিচারপতির কাছে হাজির হন। কিন্তু ফুটেজ দেখা যায়নি। বিডিওর কথা অনুযায়ী তাই তাঁর সঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জলপাইগুড়ির সার্কিট হাউস থেকে মেখলিগঞ্জে পৌঁছে যান। সেখানে গিয়েও অবশ্য ফুটেজ দেখা যায়নি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে জলপাইগুড়ির সার্কিট বেঞ্চে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলা করেছিলেন কোচবিহারের ন’জন পরাজিত প্রার্থী। চ্যাংড়াবান্ধা এলাকায় ভোটে কারচুপি এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছিলেন তাঁরা। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন কোচবিহারের জেলাশাসককে নির্বাচনের স্ট্রংরুমের সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। বৃহস্পতিবার মেখলিগঞ্জের বিডিও অরুণকুমার সামন্ত ফুটেজ নিয়ে আদালতে গিয়েছিলেন। কিন্তু আদালতে বিচারপতির সামনে ভিডিয়োটি চলেনি বলে অভিযোগ।
বিচারপতির প্রশ্নের উত্তরে বিডিও জানান, মেখলিগঞ্জে ভিডিয়োটি চলছিল। তখন বিচারপতি জানতে চান, কোথায় গেলে ভিডিয়োটি চলবে? বিডিও জানান মেখলিগঞ্জে। তৎক্ষণাৎ জলপাইগুড়ির সার্কিট হাউস থেকে ফুটেজ দেখতে মেখলিগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেন বিচারপতি। সার্কিট হাউস থেকে মেখলিগঞ্জ প্রায় ঘণ্টা দেড়েকের পথ।
মেখলিগঞ্জে গিয়েও ফুটেজটি দেখতে পাননি বিচারপতি। আদালত চত্বর থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ওঁদের অভিযোগ, স্ট্রংরুমে কিছু গোলমাল হয়েছিল। আমি তাই সেখানকার ভিডিয়ো দেখতে চেয়েছিলাম। আজকেই ভিডিয়োটি দেখা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু প্রযুক্তিগত কারণে তা দেখা গেল না।’’
বৃহস্পতিবার রাতেই এই মামলার শুনানি হবে। রাত ৮টায় আবার কোর্ট বসবে বলে জানান বিচারপতি। তিনি রাতেই মামলাটিতে যা নির্দেশ দেওয়ার দিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন।
চ্যাংরাবান্ধা গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭৬ নম্বর বুথের সিপিএম প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমরা ন’জন আছি। স্ট্রংরুম খোলা হয়েছে, আমরা সেই ফুটেজ দেখতে চাই। জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে মামলা করেছিলাম। ওঁরা বলছেন, আদালতে ফুটেজটি পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে না। মেখলিগঞ্জে নাকি পরিষ্কার দেখা যাবে। তাই বিচারপতি ওখানে গিয়েছেন।’’