J P Nadda

মমতাকে করতে হবে না, ক্ষমতায় এসে কিসান নিধি চালু করবে বিজেপি-ই: নড্ডা

নড্ডার কথায়, ‘‘পাখি ফসল খেয়ে চলে যাওয়ার পর আর আফসোস করে লাভ কী? রাজ্যের ৭০ লক্ষ মানুষ এই প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২১ ১৭:৩১
Share:

মুস্থুলি গ্রামে কৃষকের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ নড্ডার। সঙ্গে দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহা। ছবি: পিটিআই

৮ দফা আলোচনার পরেও দিল্লির কৃষক বিদ্রোহের বরফ গলেনি। তার মধ্যেই রাজ্যে এসে কৃষকদরদী ভাবমূর্তি তুলে ধরতে নতুন প্রকল্পের সূচনা করলেন জগৎপ্রকাশ নড্ডা। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার সভা থেকে কৃষক ইস্যুতেই কড়া ভাষায় আক্রমণে বিঁধলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি নড্ডার কটাক্ষ, পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে বলে এখন কেন্দ্রের কিসান সম্মান নিধি চালুর জন্য মোদীকে চিঠি লিখেছেন মমতা। বাংলায় তৃণমূলের বিদায় নিশ্চিত বলেও দাবি করেন তিনি।

Advertisement

কৃষকদের কথা মাথায় রেখেই রাজ্যের ‘ধানের গোলা’ পূর্ব বর্ধমানে সাজানো হয়েছিল নড্ডার কর্মসূচি। কাটোয়ার মুস্থুল গ্রামে সভার নামও ছিল ‘কৃষকসভা’। সেখানে অনেক কৃষকই নিজেদের ফলানো ফসল নিয়ে এসেছিলেন নড্ডাকে উপহার দেওয়ার জন্য। তার সঙ্গে ঘোষিত কর্মসূচি ‘এক মুঠো চাল’। কৃষকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মুষ্টিভিক্ষা করেছেন নড্ডা। মুস্থুলির সভা থেকে বিজেপি-র ‘গুণকীর্তন’ বা তৃণমূলকে আক্রমণ, নড্ডার পুরো বক্তব্য ছিল কৃষি ও কৃষককেন্দ্রিক। মুস্থুলিতে ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, লকেট চট্টোপাধ্যায়-সহ রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।

এত দিন এ রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘কিসান সম্মান নিধি’ প্রকল্প চালু করেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। নবান্নের যুক্তি, রাজ্য সরকারই ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পে কৃষকদের নগদ আর্থিক সাহায্য দেয়। তবে সম্প্রতি কিসান সম্মান নিধি প্রকল্প চালুর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন মমতা। তা নিয়েই নড্ডার কটাক্ষ, ‘‘পশ্চিম বাংলার কথা বলতে গেলে দুঃখ হয়। গত দেড়-দু’বছর ধরে আমরা লাগাতার বলে আসছি, এই প্রকল্প চালু করুন। কিন্তু মমতা তাতে কর্ণপাত করেননি। এখন যখন পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে, তখন চিঠি লিখছেন।’’

Advertisement

কিন্তু এখন আর এই চিঠি লিখে কোনও লাভ নেই বলে মন্তব্য করেছেন নড্ডা। তাঁর কথায়, ‘‘পাখি ফসল খেয়ে চলে যাওয়ার পর আর আফসোস করে লাভ কী? ৭০ লক্ষ লোক এই প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এমনকি, এ রাজ্য থেকে ২৩ লক্ষ মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার আবেদনও করেছেন। কিন্তু মমতা তাতে অনুমোদন দেননি।’’ রাজ্যে বিজেপি-ই ক্ষমতায় আসবে বলে দাবি করে নড্ডা আরও বলেন, ‘‘আপনার বিদায় হবে আর বিজেপি ক্ষমতায় আসবে— এটা এখানকার মানুষ মনস্থির করে ফেলেছেন। তাই এখন আর এই চিঠির গুরুত্ব কী আছে? আপনার আর চিঠি লেখার প্রয়োজন নেই। বিজেপি সরকার গঠন করেই কিসান সম্মান নিধি চালু করবে।

আরও পড়ুন: ১৩ নয়, ১৬ তারিখ থেকে দেশে করোনা টিকাকরণ শুরু হচ্ছে, জানাল কেন্দ্র

নয়া কর্মসূচির সূচনা করে মুস্থুলির সভায় নড্ডা জানিয়েছেন, ‘‘কৃষকদের কাছ থেকে দান নিয়েছি। ২৪ থেকে ৩১ তারিখ পর্যন্ত কৃষক ভোজন করব। গ্রামে গ্রামে কৃষকভোজ করে আমরা জনমত তৈরি করব। আমরা প্রমাণ করব যে, কৃষকরা আমাদের সঙ্গেই আছেন। তাঁদের সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে, আমাদের সরকার রাজ্যে এলে সেটা মেটাবে।’’ মুস্থুলির সভার পরে ওই গ্রামের কৃষক মথুরা মণ্ডলের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সেরে বর্ধমানের উদ্দেশে রওনা দেন নড্ডা। বর্ধমানের রোড শো-তে রাজ্য বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যোগ দেন দুর্গাপুরের সাংসদ সুরিন্দর সিংহ অহলুওয়ালিয়া।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement