মাওবাদী নেত্রী পুষ্পার বাড়িতে ঝাড়খণ্ড পুলিশের নোটিস। — নিজস্ব চিত্র।
এ রাজ্যের ২ মাওবাদী নেতা-নেত্রীকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিল ঝাড়খণ্ড পুলিশ। না হলে তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। এই মর্মে মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ির মাওবাদী নেত্রী পুষ্পা ওরফে শকুন্তলা মাহাতো এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি থানার কর্মাশোলের মাওবাদী নেতা মদন মাহাতোর বাড়িতে নোটিস দেওয়া হয়েছে ঝাড়খণ্ড পুলিশের তরফে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ২৬ বছর আগে বাড়ি ছেড়েছেন পুষ্পা। ঝাড়খণ্ডে মারধর এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা পড়েছে আদালতে। কিন্তু, পুষ্পাকে ধরা যায়নি। তাঁকে আদালতে উপস্থিত হওয়ার জন্য পুষ্পার বেলপাহাড়ি থানার মেঁছুয়া গ্রামের বাড়িতে মঙ্গলবার নোটিস সাঁটিয়েছে ঝাড়খণ্ড পুলিশ। মঙ্গলবার এই কাজে জামশেদপুরের পুলিশের সঙ্গে ছিল বেলপাহাড়ি থানার পুলিশও। ঝাড়খণ্ড পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বেলপাহাড়ির পুষ্পা ঝাড়খণ্ডের পটমদা স্কোয়াডের নেত্রী। তিনি মাওবাদী সংগঠনে বর্ষা নামেও পরিচিত। ২০১৬ সালে পটমদা থানার একটি মামলায় জামশেদপুরের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য নোটিস দেওয়া হয় পুষ্পার বাড়িতে। এ নিয়ে বেলপাহাড়ির এসডিপিও উত্তম গরাঁইন বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশে নোটিস দিতে এসেছিল। পরবর্তী কালে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে।’’
যখন পুলিশ নোটিস দিতে যায় সেই সময় মেঁছুয়া গ্রামে পুষ্পার বাড়িতে ছিলেন তাঁর বাবা, মা, বোন-সহ অনেকেই। পুষ্পার বাবা লক্ষীকান্ত মাহাতো জানান, ১৯৯৬ সালে মাত্র দশ বছর বয়সে মেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। আর বাড়ি ফেরেনি। লক্ষ্মীকান্তের দাবি, ‘‘আমাদের সঙ্গে ওর কোনও যোগাযোগও নেই। এলেও এখন ওকে চিনতে পারব না।’’
পুষ্পার মতো শালবনি থানার কর্মাশোল গ্রামের মাওবাদী নেতা মদন মাহাতোর বাড়িতেও নোটিস দিয়েছে পটমদা থানার পুলিশ। তাঁদের সহযোগিতা করে শালবনি থানার পুলিশ। সেই সময় মদনের এক দাদা ছিলেন বাড়িতে। ইতিমধ্যেই মদনের নামে ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।