লাথির আঘাতে এ ভাবেই ঝোপের মধ্যে পড়ে যান জয়প্রকাশ।
মুখের উপরে দড়াম করে দরজাটা বন্ধ করে দিলেন বছর পঁয়ষট্টির বৃদ্ধ। টিনের দরজার ও পার জানিয়ে দিলেন, কথা বলবেন না।
তিনি লতিফ শেখ। করিমপুরে বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারকে লাথি মেরে ঝোপে ফেলে দেওয়ায় অভিযুক্ত তারিকুল শেখের বাবা। পুলিশ তাঁকেও গ্রেফতার করেছিল। পরে দু’জনে জামিনে ছাড়া পেলেও অস্বস্তি কাটেনি। ধোড়াদহ ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘিয়াঘাটা ইসলামপুর প্রাথমিক স্কুলে ৩২ ও ৩৩ নম্বর বুথের কাছেই ওই ঘটনা ঘটেছিল। তারিকুলের বড়দা নইদুল শেখ ৩৩ নম্বর বুথের এজেন্ট ছিলেন। তাঁর নাম অবশ্য জড়ায়নি। পড়শিরা জানাচ্ছেন, পুলিশি ঝামেলায় জড়িয়ে লতিফ বিধ্বস্ত। মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামের অনেকে তাঁদের বাঁকা চোখে দেখছে।
তা-ই যদি হয়, সেই গ্রামের দু’টি বুথে মাত্র ৪০টি ভোট পেলেন কেন জয়প্রকাশ? গ্রামের মোড়ে দাঁড়িয়েছিলেন জনা কয়েক গ্রামবাসী। লাথি মারার ঘটনার তো আপনারা নিন্দা করেছিলেন? তবু তৃণমূলকে ভোট দিলেন? লতিফ বিশ্বাস বললেন, “এখনও বলছি, কাজটা ঠিক হয়নি। তাই বলে যারা আমাদের দেশ থেকে তাড়াবে বলে হুমকি দিচ্ছে, তাদের জিতিয়ে বিপদ ডাকব?” আর এক জন বলেন, “আগে নিজেরা বাঁচব, তার পর অন্য কথা।” তারিকুল কোথায়? বন্ধ দরজার ও পার থেকেই কথা আসে, ‘‘সে কাউন্টিংয়ের ওখানে গিয়েছে।’’ যদিও সেখানে তাঁর দেখা মেলেনি।
দু’টি বুথ মিলিয়ে মাত্র ওই ক’টা ভোট পেলেন? জয়প্রকাশের জবাব, ‘‘ওখানে সন্ত্রাস কোন পর্যায়ে গিয়েছে তা তো সবাই দেখেছে। লোকে আমায় ভোট দেবে কী করে?’’ জয়ী তৃণমূল প্রার্থী বিমলেন্দু সিংহ রায়ের কটাক্ষ, ‘‘মানুষের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়ে উনি বাজে অজুহাত খুঁজছেন!’’