বুধবার বিধানসভায় ঢোকার সময় জহর সরকার। —নিজস্ব চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী খোদ ফোন করে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তাই আপত্তির প্রশ্নই ওঠে না বলে জানিয়েছিলেন। এ বার রাজ্যসভায় তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়ে দিলেন প্রাক্তন আইএএস অফিসার তথা প্রসার ভারতীর প্রাক্তন অধিকর্তা জহর সরকার। বুধবার দুপুরে মনোনয়ন জমা দিতে বিধানসভায় পৌঁছন জহর। দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন জমা দেন। দলত্যাগী দীনেশ ত্রিবেদীর ছেড়ে যাওয়া আসনে জহরকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। আগামী ৯ অগস্ট একই দিনে ওই আসনে উপ নির্বাচন এবং ফল ঘোষণা।
বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদীর ঘোর সমালোচক হিসেবে পরিচিত জহরকে রাজ্যসভায় পাঠানো হচ্ছে বলে গত শনিবার ঘোষণা করে তৃণমূল। জনসেবার কাজে ৪২ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন জহরকে পাশে পেলে দেশসেবার পথ আরও মসৃণ হবে বলে জানায় তারা। এর পর আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হলে জহর জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ফোন করে তাঁকে রাজ্যসভার প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দেন।
মমতার সঙ্গে বরাবরই সুসম্পর্ক জহরের। কিন্তু প্রকাশ্যে মোদী এবং অমিত শাহকে প্রায় নিত্যদিনই আক্রমণ করতে দেখা যায় তাঁকে। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্রের মধ্যে যখন সঙ্ঘাত চলছে, সেই সময়ও মোদী-শাহের তীব্র সমালোচনা করেন জহর। তাই জহরের নাম সামনে আসার পরই বিতর্ক দেখা দেয়। অভিযোগ ওঠে, তৃণমূলের হয়ে সওয়াল করেন বলেই তাঁকে ‘পুরস্কৃত’ করেছেন মমতা। যদিও জহরের দাবি, মোদীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে চান বলেই রাজ্যসভায় যাওয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন তিনি।