Jail Department

বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে জেলে ভিড় কমানোর প্রচেষ্টা

ভিনদেশি বন্দিদের দেশে ফেরানোর ক্ষেত্রে বিদেশ মন্ত্রকের ভূমিকা থাকে।

Advertisement

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:০৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

মুক্তি হয়েছে। অথচ বাড়ি ফেরা হয়নি। অন্তরায় হয়েছে করোনা আবহ আর লকডাউন। আর করোনাকে সঙ্গী করে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দ খুঁজছে বঙ্গ। তাই এ বার মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশি বন্দিদের 'ঘরে' ফেরাতে চাইছে রাজ্য কারা দফতর। সে কারণেই স্বরাষ্ট্র দফতরকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে অনুরোধ করল তারা।

Advertisement

ভিনদেশি বন্দিদের দেশে ফেরানোর ক্ষেত্রে বিদেশ মন্ত্রকের ভূমিকা থাকে। উদ্যোগ নিতে হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককেও। তা নিয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের থেকে নথি চায় তারা। বন্দিদের দেখাশোনাতে কারা কার্যত একক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে কারা দফতরের। কিন্তু বিদেশি বন্দিদের বাড়ি ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন মন্ত্রক ও দফতরের সঙ্গে সমন্বয় করতে হয় তাদের।

রাজ্যের বিভিন্ন সংশোধনাগারে রয়েছেন প্রায় ৬৮০ জনের মতো বাংলাদেশি বন্দি। আদালতের নির্দেশে সাজার মেয়াদ শেষ হয়েছে তাঁদের। কিন্তু গত কয়েক মাস করোনা আর লকডাউনের কারণে বাংলাদেশি বন্দিদের ফেরত পাঠানো যায়নি। অনেকদিন বন্ধ ছিল সীমান্তও। এখন সেসব সমস্যা অনেকটাই মিটেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে মুক্ত বন্দিদের যাতে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো যায়, তার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে স্বরাষ্ট্র দফতরকে অনুরোধ করেছে কারা দফতর। এ বিষয়ে গত কয়েকদিন আগে দুই দফতরের মধ্যে একটি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে সেই বৈঠকটি আপাতত স্থগিত হয়েছে বলে রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর।

Advertisement

আরও পড়ুন: প্রদেশ কংগ্রেসের ভাগ্যে ফের ‘পরিযায়ী’ সভাপতি

আরও পড়ুন: মস্কোয় দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ।। আগে সেনা সরাক চিন: জয়শঙ্কর

কোভিড-১৯'র সৌজন্যে কয়েক মাস করে 'ছুটি' মিলেছিল কয়েক হাজার বিচারাধীন এবং দণ্ডিত বন্দিদের। সেই সব ছুটি কাটিয়ে সংশোধনাগারে ফিরতে শুরু করেছেন বন্দিরা। তাই ধীরে ধীরে 'ভিড়' বাড়ছে। যা নিয়ে চিন্তাও বাড়ছে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের। তাঁদের অনেকের মতে, "কয়েক মাস পরে যাঁরা সংশোধনাগারে ফিরছেন, তাঁদের আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে। আশা করা যায়, কোনও সমস্যা হবে না। তবুও চিন্তা নেই বললে সত্যের অপলাপ হবে।"

দমদম, বহরমপুর, মালদহ, কৃষ্ণনগর, বালুরঘাট, জলপাইগুড়ি বনগাঁ, বসিরহাটের মতো সংশোধনাগারে বাংলাদেশি বন্দিদের আনাগোনা অনেক বেশি। আর কোভিড-১৯ প্রতিরোধের অন্যতম শর্ত দূরত্ববিধি বজায় রাখা। তাই মুক্ত বাংলাদেশি বন্দিদের তাঁদের দেশে পাঠানো গেলে সীমান্তবর্তী জেলার সংশোধনাগার গুলির ভিড়ের লেখচিত্র কিছুটা নিম্নগামী হতে পারে। করোনা আবহে তা জরুরি।

তাই খাতায় কলমে মুক্ত বাংলাদেশিদের পাকাপাকি 'মুক্তি'র স্বাদ দিলে অনেকাংশে ঝুঁকিও এড়াতে পারবে কারা দফতর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement