রাজ্যপালের চিঠি মুখ্যসচিবকে।
রাজ্যের সাংসদ, বিধায়কদের বিরুদ্ধে থাকা ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহারের রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ২০২১ সালের ১ মে-র পরে কোন কোন সাংসদ বা বিধায়কের বিরুদ্ধে থাকা ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে তারই পূর্ণাঙ্গ তথ্য চেয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বুধবার মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে নোট পাঠিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সেই নোটটি টুইট করে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, ১১ জুলাইয়ের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। সেখানে এটাও উল্লেখ করেছেন যে এমন রিপোর্ট তৈরিই রয়েছে বলে তিনি আশা করেন।
রিপোর্ট চাওয়ার পাশাপাশি মুখ্যসচিবকে তাঁর কর্তব্য মনে করিয়ে দিয়ে সতর্কও করেছেন রাজ্যপাল। লিখেছেন, ‘অতীতে বারবারই তথ্য দিতে ব্যর্থ হয়েছেন মুখ্যসচিব। এই আচরণ ১৯৬৮ সালের অল ইন্ডিয়া সার্ভিস কন্ডাক্ট রুলের পরিপন্থী। তাই মুখ্যসচিবকে এটা নিশ্চিত করতে হবে যেন ১১ জুলাইয়ের মধ্যে যে তথ্য চাওয়া হয়েছে তা রাজভবনে পৌঁছে যায়।’
২০২১ সালের ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়। তার ঠিক আগের দিন থেকে কেন রাজ্যপাল সাংসদ, বিধায়কদের বিরুদ্ধে থাকা মামলা প্রত্যাহার সংক্রান্ত তথ্য চাইছেন তা অবশ্য স্পষ্ট হয়নি। তবে নবান্নের সঙ্গে ফের সঙ্ঘাতের আবহ তৈরি হল বলেই মনে করা হচ্ছে।
বুধবারই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপির প্রতিনিধি দল যায় রাজভবনে। বৃহস্পতিবারই রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য নিয়োগের কথা ঘোষণা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মুখ্যমন্ত্রীকে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করার বিল রাজ্য বিধানসভা পাস হয়ে গেলেও তা আইন হয়নি। রাজনৈতিক বিতর্কও চলছে। তারই মধ্যে নতুন নিয়োগের কথা ধনখড় টুইট করে জানিয়েছেন। সেখানে কোন ধারা মেনে ওই নিয়োগ হয়েছে, তারও উল্লেখ করেছেন। তার পরে পরেই মুখ্যসচিবকে পাঠানো চিঠি সংক্রান্ত টুইট।