বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডা। ছবি: পিটিআই।
বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হতে না পারলে বিজেপির কেউ কেউ যে ‘এ দিক-ও দিক’ করতে পারেন, এমন আশঙ্কা করছেন দলীয় নেতৃত্ব। বুধবার তার আভাস মিলল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডার কথায়। তিনি বুধবার আইসিসিআর-এ দলের ভোট পরিচালনা কমিটি এবং বস্তিবাসীদের সঙ্গে দু’টি আলাদা বৈঠক করেন। বিজেপি সূত্রের খবর, ভোট পরিচালনা কমিটির বৈঠকে নড্ডা বলেন, ভোটে প্রার্থী হতে না পারলে কেউ যেন এ দিক-ও দিক না করেন। ভোটে দাঁড়ানোর ইচ্ছা থাকলে দলের সর্বভারতীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) শিবপ্রকাশকে জানাতে হবে। কিন্তু সে ইচ্ছা পূরণ না হলে যেন অন্য দিকে মন চলে না যায়। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে কথাগুলি তাৎপর্যপূর্ণ এবং যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী। বিজেপি সূত্রের খবর, নড্ডার নির্দেশ, প্রার্থী হতে না পারলেও ভোটে দলকে জেতানোর চেষ্টা করতে হবে। দল সরকারে এলে সকলেরই কাজের অনেক সুযোগ তৈরি হবে। কর্মীরা যেন নিজেদের কথা না ভেবে দলের কথা ভাবেন। দল তাঁদের কথা ভাববে।
এ দিনই ভারতীয় ভাষা পরিষদে ভবানীপুর বিধানসভার দলীয় ভোট পরিচালনা কমিটির কর্মীদের সঙ্গে চা চক্রে যোগ দেন নড্ডা। বিজেপি সূত্রের খবর, সেখানে তিনি বলেন, আগামী চার মাস ভবানীপুরের বাড়িতে বাড়িতে যেতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র ভবানীপুরে তাঁকে হারাতে পারলে গোটা দেশে ওই কেন্দ্র এবং সেখানকার বিজেপি কর্মীদের নাম ছড়িয়ে পড়বে। তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা অবশ্য বলেন, ‘‘অন্য দলের অভ্যন্তরীণ বৈঠকে কে কী বলেছেন, তা নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। তবে কেউ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাবেন ভাবলে মূর্খের স্বর্গেও তাঁর জায়গা হবে না।’’
বিজেপি সূত্রের খবর, এ দিন আইসিসিআর-এ নড্ডার সঙ্গে আলোচনায় যোগ দিয়ে বস্তিবাসীরা মূলত নিজেদের জীবনের মানোন্নয়ন এবং জীবিকার নিশ্চয়তার প্রয়োজনের কথা জানান। বাড়িতে পরিস্রুত পানীয় জল, শৌচালয় এবং নিকাশি ব্যবস্থার অসুবিধার কথাও তোলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: বিধানসভা ভোটের আগে এ বার অভিষেকের গড় ডায়মন্ড হারবারে যাবেন নড্ডা
আরও পড়ুন: বহিরাগতদের দেখলেই পুলিশে জানান: মমতা