ছবি: সংগৃহীত।
দেশের মধ্যে ‘কিউ এস র্যাঙ্কিংয়ে’ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে এগিয়ে আছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে ‘কিউএস র্যাঙ্কিংয়ে’ কলকাতাকে পিছনে ফেলে দিল যাদবপুর। এ বার যাদবপুরের স্থান ১৩৬। কলকাতা রয়েছে ১৩৯-এ। গত বার কলকাতা ছিল ১৩৪, আর যাদবপুর ১৩৭-এ। সম্প্রতি প্রকাশিত ভারতের ‘কিউএস র্যাঙ্কিংয়ে’ দেশের সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একাদশ স্থান পেয়েছে কলকাতা এবং যাদবপুর রয়েছে দ্বাদশ স্থানে।
বাছাইয়ের মাপকাঠির মধ্যে ছিল, পঠনপাঠনের সুনাম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা যে-সব সংস্থায় চাকরি পান তার মান, ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত, পিএইচডি ডিগ্রি আছে ক’জন শিক্ষকের, শিক্ষক-পিছু গবেষণাপত্রের সংখ্যা, প্রতিটি গবেষণাপত্রের ‘সাইটেশন’ কত ইত্যাদি বিষয়। গবেষণার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা, আন্তর্জাতিক শিক্ষক ক’জন, আন্তর্জাতিক ছাত্র-সংখ্যা, ছাত্র বিনিময়ের ক্ষেত্রে কত পড়ুয়া অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়তে যান এবং কত পড়ুয়া অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পড়তে আসেন তাও দেখা হয়েছে। দেশের মধ্যে ‘কিউ এস র্যাঙ্কিংয়ে’র মাপকাঠি কিছুটা অন্য রকম ছিল।
বিশ্বের নিরিখে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কিউএস র্যাঙ্কিংয়ে যাদবপুর রয়েছে ৬৫১ থেকে ৭০০-র মধ্যে। ৮০১ থেকে হাজারের মধ্যে আছে কলকাতা। কারণ, বিশ্বব্যাপী র্যাঙ্কিংয়ের মাপকাঠি অন্য রকম। শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বলেন, ‘‘যাদবপুরের ঐতিহ্য হল, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্যাম্পাসে সকলের মতামত নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। সেই প্রক্রিয়ায় সুফল মিলেছে।’’ তিনি জানান, প্রাদেশিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রাজ্য যে আর্থিক সাহায্য করে তার যথাযথ ব্যবহারের চেষ্টা হয়েছে। রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাড়ল ডিজিটাল রেশন কার্ডের আবেদনের সময়সীমা
এশিয়া র্যাঙ্কিংয়ে প্রথমে ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর। দ্বিতীয় স্থানে সিঙ্গাপুরেরই নানইয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি। ভারতের মধ্যে প্রথমে বম্বে আইআইটি। এশিয়ার মধ্যে তার স্থান ৩৪। খড়্গপুর আইআইটি ৫৬তম স্থানে। ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে সর্বোচ্চ স্থানে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। এশিয়ায়, ৬৭। ১১৪তম স্থানে পেয়েছে হায়দরাবাদ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়।