রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ফাইল চিত্র।
রাজ্যপালের ভূমিকার বিরুদ্ধে এ বার কি পথে নেমে মোকাবিলা? বর্তমান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের মোকাবিলায় শাসক তৃণমূল কী পদক্ষেপ করবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে স্বাধীনতা দিবসের চা-চক্র ঘিরে রাজভবন ও সরকারের মধ্যে সংঘাতের সর্বশেষ ঘটনা যে জটিল আকার নিয়েছে, তাতে বিষয়টির সরাসরি রাজনৈতিক মোকাবিলা হওয়া উচিত বলে অনেকের অভিমত।
রাজ্য সরকার রাজভবনের পদস্থ অফিসারদের মাধ্যমে নথি ‘পাচার’ থেকে শুরু করে নজরদারি চালাচ্ছে বলে রাজ্যপাল যে অভিযোগ করেছেন, তাতে বিষয়টি গুরুতর আকার নিতে পারে বলে শাসক শিবিরের আশঙ্কা। সোমবার বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ এমন একটি রাজ্য, যেখানে রাজ্যপালও সুরক্ষিত নন। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানাব।’’
সূত্রের খবর, এমতাবস্থায় তৃণমূলের অনেকের মতে, এই রাজ্যে একাধিক রাজ্যপালের ভূমিকার বিরুদ্ধে গণ-প্রতিবাদের নজির আছে। ধর্মবীরের বিরুদ্ধে আন্দোলন দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। সে আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন বামেরা। তৃণমূলের অনেকে তাই মনে করছেন, ধনখড়ের ভূমিকার প্রতিবাদকেও আন্দোলনের চেহারা দেওয়া যেতে পারে। দলের এক শীর্ষ নেতার বক্তব্য, ‘‘লড়াই যদি রাজভবন থেকে সংগঠিত হয়, তবে তা অবশ্যই প্রতিবাদযোগ্য।’’
তৃণমূলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্যপালের ভূমিকার বিরুদ্ধে রাজ্যবাসীর প্রতিবাদের নজির বাংলায় আছে। বর্তমান রাজ্যপালের কার্যকলাপ নিয়েও গণ-প্রতিবাদ গড়ে উঠবে না, তা হলফ করে বলা যায় না।’’