(বাঁ দিকে) যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেল। ইসরোর প্রতিনিধি দল (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল এবং ক্যাম্পাস ঘুরে দেখল ইসরোর প্রতিনিধি দল। বুধবার দ্বিতীয় দিন তারা বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়েছে। হস্টেলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখার পর ক্যাম্পাসেও গিয়েছেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার দুই প্রতিনিধি। কোথায়, কী প্রযুক্তি ব্যবহার করলে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মানুবর্তিতা প্রয়োগ করায় সুবিধা হবে, তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। এর পর ইসরোর তরফে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে সে বিষয়ে সুপারিশ করা হবে।
ইসরোর দু’জন প্রতিনিধি মঙ্গলবারেও যাদবপুরে গিয়েছিলেন। তবে মঙ্গলবার তাঁরা শুধু ক্যাম্পাসে ঘুরেছেন। বুধবার ইসরোর দল গেল মেন হস্টেলেও। এই হস্টেলের এ২ ব্লকের যেখানে প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছিল, সেই অংশ বিশেষ ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন তাঁরা। ইসরোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ।
ইসরোর প্রতিনিধিরা যাবদপুর বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখে যা তথ্য সংগ্রহ করেছেন, সেগুলি রিপোর্ট আকারে নিয়ে যাবেন বেঙ্গালুরুর অফিসে। সেখানে সংস্থার অন্য আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তার পর আবার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে ইসরো। তখনই প্রযুক্তি ব্যবহার সম্পর্কে সুপারিশ করা হবে।
উপাচার্য আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির কথা বলেছিলেন। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পর থেকে যাদবপুরে সিসি ক্যামেরা বসানোর দাবি জোরালো হয়। উপাচার্য জানিয়েছিলেন, শুধু সিসিটিভি নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রেও প্রযুক্তির ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হবে। সে বিষয়েই ইসরোর প্রতিনিধিরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছেন। কোন কোন প্রযুক্তি যাদবপুরের কোথায় আবশ্যক, সে বিষয়ে তাঁরা কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করবেন।
যাদবপুরে ইসরোর সুপারিশে প্রযুক্তির প্রয়োগের কথা বলেছিলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি জানিয়েছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ইসরোর সহায়তা প্রয়োজন। পরে রাজভবনের তরফ থেকে ইসরোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ইসরোর প্রতিনিধি দলের অনেক আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার কথা ছিল। নানা কারণে তা পিছিয়ে যায়। অবশেষে মঙ্গলবার তাঁরা ক্যাম্পাসে আসেন এবং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন।