ফাইল চিত্র।
বিজেপির পর ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করতে চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ আইএসএফ। আগামী ২১ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে সেখানে কর্মসূচি করতে চায় তারা। অভিযোগ, এই সভার অনুমতি দিচ্ছে না পুলিশ।
সভার অনুমতি পেতে মঙ্গলবার হাই কোর্টে আবেদন জানায় আইএসএফ। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন। বিচারপতি সেনগুপ্ত জানতে চান, ওই জায়গায় কি সভা করার অনুমতি দেওয়া হয়? আইএসেফের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম তখন আদালতে জানান, ওই জায়গায় তৃণমূল সভা করে। তাঁর আরও বক্তব্য, কর্মসূচি করতে না দেওয়ার কারণ হিসাবে পুলিশ জানিয়েছে, গত বছর ওই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রানি রাসমণি রোডে গন্ডগোল হয়েছিল। আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা প্রকাশ করে অনুমতি দেওয়া যাবে না বলে পুলিশ লিখিত জানিয়ে দিয়েছে। তার পরই আদালত জানায়, বুধবার এই মামলার শুনানি হবে।
গত বছরের ২৯ নভেম্বর তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সভাস্থলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিয়ে সভা করতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু কলকাতা পুলিশ সেই জায়গায় সভা করার অনুমতি না দেওয়ায় হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় বঙ্গ বিজেপি। তাদের আর্জি ছিল, ধর্মতলায় সিইএসসির অফিস ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনেই সভা করতে দেওয়া হোক তাদের।
কিন্তু এই সভার জন্য কলকাতা পুলিশের কাছে আবেদন করা হলে তারা অনুমতি দেয়নি বলে অভিযোগ তুলেছিলেন বাংলার বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের আরও অভিযোগ ছিল, কোনও কারণ না জানিয়েই দু’বার বিজেপির আবেদন খারিজ করেছে পুলিশ। তার পরই কলকাতা হাই কোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে মামলা করেছিল বিজেপি। সেই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে। বিচারপতি জানিয়ে দেন, বিজেপি ওই জায়গায় সভা করতে পারবে। তার পর সেখানে সভাও করে বিজেপি।
আইএসএফের এই আর্জি নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘তৃণমূল ওখানে সভা করে বছরে একটি দিন। তার কারণ স্থানমাহাত্ম্য রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনে ওখানে ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই গুলি চলেছিল। ১৩ জন শহিদ হয়েছিলেন। ওই এলাকা জনবহুল। তৃণমূল সভা করে মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে। এখন সবাই যদি বলে ওখানে সভা করবে, তা হলে সেটা গাজোয়ারি হবে।’’