আবু মুসা।—ফাইল চিত্র।
বন্দিদশায় দুই জেল ওয়ার্ডেনের উপরে আক্রমণ চালিয়েছিল সে। এ বার সেই আইএস (ইসলামিক স্টেটস) জঙ্গি আবু মুসা ওরফে মুসাউদ্দিনের জুতো-হামলার শিকার হলেন এক আইনজীবী। তা-ও আদালত কক্ষে, খোদ বিচারকের সামনে। বিচারকের দিকে ছোড়া তার চপ্পল লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে এক আইনজীবীর কানে লাগে।
মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার বিচার ভবনে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) বিশেষ আদালতে। ভরা এজলাসে বিচারক প্রসেনজিৎ বিশ্বাসকে লক্ষ্য করে জুতো ছোড়ে মুসা। অভিযোগ, বিচারককে লক্ষ্য করে জুতো ছোড়া হলেও তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে আঘাত করে শুভদীপ চক্রবর্তী নামে এক আইনজীবীকে। তবে তাঁর আঘাত গুরুতর নয়। রাত পর্যন্ত তিনি কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি বলে জানায় পুলিশ।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এর পরে মুসার বিচার প্রেসিডেন্সি জেল থেকে ভি়ডিয়ো-সম্মেলনে করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন এনআইএ-র আইনজীবী শ্যামল ঘোষ। তিনি জানান, বীরভূমের বাসিন্দা মুসা ২০১৬ সালে বর্ধমান রেল স্টেশনে সিআইডি-র হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরে দু’বার জেলের দুই ওয়ার্ডেনের উপরে হামলা চালায়। দুই জেলকর্মী তাতে গুরুতর আহত হন।
মুসার বিচার পর্বে এ দিন সাক্ষ্য নেওয়ার কথা ছিল। দুই সাক্ষী আদালতে হাজির ছিলেন। মুসার হয়ে কোনও আইনজীবী সওয়াল করতে না-চাওয়ায় জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ দীপঙ্কর দাস পট্টনায়েক নামে এক আইনজীবীকে এ দিন নিয়োগ করেন। দীপঙ্করবাবু জানান, বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ বিচার শুরু হতেই কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে মুসা বিচারকের উদ্দেশে বলে, সে কিছু বলতে চায়। বিচারক অনুমতি দিলে মুসা বলতে শুরু করে, সে মানুষের তৈরি আইন মানে না। সে বাঁচতে চায় না। আত্মহত্যা করতে চায়। তার পরেই আচমকা নিচু হয়ে সে এক পাটি রবারের চপ্পল হাতে তুলে নেয় এবং উঠে দাঁড়িয়ে সটান বিচারকের দিকে তা ছুড়ে দেয়। জুতো লাগে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা কৌঁসুলির বাঁ কানে।
ওই আইনজীবী জানান, এক অভিযুক্তের আগাম জামিনের মামলা লড়তে তিনি এ দিন এনআইএ-র বিশেষ আদালতে গিয়েছিলেন। মুসা কথা বলা শুরু করতেই তিনি এবং অন্য আইনজীবীরা তার দিকে ঘুরে তার বক্তব্য শুনতে থাকেন। তার মধ্যে আচমকাই জুতো ছুড়ে বসে মুসা।
চিন থেকে ফিরেও স্বস্তি পাচ্ছি না জরুরি বিভাগের চিকিৎসকদের কথা শুনে স্বাস্থ্য দফতরের হেল্পলাইনে কথা বলি। ফোনের ও-পারে স্বাস্থ্য দফতরের জনস্বাস্থ্য বিভাগের এক পদস্থ কর্তা। কেন পরীক্ষা করাতে চাইছি, তাঁকে জানালাম। উনি বললেন, যে-হেতু আমার কোনও করোনা-লক্ষণ নেই এবং আমি উহান-ফেরত নই, তাই প্রোটোকলে আমার লালারসের নমুনা পরীক্ষা করার কথা নয়। আরও কয়েক দিন পৃথক ঘরে থাকতে বলা হল। কবে কেমন আছি, তা নিয়মিত জানাতে বলা হয়েছে। এই সব পরামর্শ শুনে বাধ্য হয়েই বাড়ি ফিরে আসি।
চিনে যেখানে ছিলাম, সেখান থেকে নোভেল করোনাভাইরাসের আঁতুড়ঘর উহানের দূরত্ব অন্তত ৯০০ কিলোমিটার। ওই রোগের কোনও লক্ষণ আমার শরীরে নেই, বুঝতে পারছি। কিন্তু মনকে বোঝাই কী করে। অগত্যা আরও কয়েকটা দিন এই অস্বস্তি নিয়েই পরিবারের অন্যদের সঙ্গে কাটাতে হবে আমাকে।