সিবিআই দফতরে এসএমএইচ মির্জা। —নিজস্ব চিত্র।
নারদ কাণ্ডে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন পুলিশ কর্তা এসএমএইচ মির্জা। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি নিজাম প্যালেসে পৌঁছন। ৭ ঘণ্টা ধরে তাঁকে জেরা করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এর আগেও, তাঁকে নারদ কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। বয়ানে অসঙ্গতি থাকায় ফের এ দিন তলব করা হয়।
নারদ স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো ফুটেজে এসএমএইচ মির্জাকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল। সেই ভিডিয়োর সত্যতা অবশ্য আনন্দবাজার যাচাই করেনি। সেই সময় তিনি বর্ধমানের পুলিশ সুপার ছিলেন। কেন তিনি ওই টাকা নিয়েছিলেন, কারও নির্দেশে টাকা নিয়েছিলেন কিনা, সে বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। এ দিন তাঁর বয়ানও রেকর্ড করা হয়।
২০১৪ সালে নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েল ব্যবসায়ী সেজে স্টিং অপারেশন করেছিলেন বলে তিনি দাবি করেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে ২০১৬ সালে সেই স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো ফুটেজ সামনে আসে। তাতে রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীদের টাকা নিতে দেখা যায়। এমনকি টাকা নিতে দেখা যায় এসএমএইচ মির্জার মতো পুলিশ কর্তাকেও। সিবিআই জেরায় ম্যাথু জানিয়েছেন, রাজ্য ব্যবসা করতে চান বলে ব্যবসায়ী সেজে তিনি তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের প্রস্তাব দেন। তখনই তাঁর কাছ থেকে এই টাকা দাবি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ইদ-মঞ্চ থেকেও ইভিএম কারচুপি নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী
আরও পড়ুন: মু্ম্বইয়ে বিমানসেবিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার সহকর্মী
তৃণমূল যদিও ম্যাথুর এই দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে। স্টিং অপারেশন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশেই তদন্তে নামে সিবিআই। স্টিং অপারেশনের নেপথ্যে আসল সত্যটা কী, তা জানার জন্য অভিযুক্তদের জেরা প্রক্রিয়া চলছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বেশ কয়েক জন নেতা-মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাদ করা হয়ে গিয়েছে। মাঝে বেশ কিছু দিন নারদ তদন্ত থমকে থাকলেও, সারদার মতোই নারদ তদন্তে নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে সিবিআই।
(পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাংলায় খবর জানতে পড়ুন আমাদের রাজ্য বিভাগ।)