মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আমন্ত্রণ বাংলাদেশি দূতের

এ-পার বাংলা ছাড়ার আগে সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সৌজন্য-সাক্ষাৎ করলেন কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম। মুখ্যমন্ত্রীকে ঢাকা সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান তিনি। মমতার হাতে তুলে দেন বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের আমন্ত্রণপত্রও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৩:২৬
Share:

আবিদা ইসলাম

এ-পার বাংলা ছাড়ার আগে সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সৌজন্য-সাক্ষাৎ করলেন কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম। মুখ্যমন্ত্রীকে ঢাকা সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান তিনি। মমতার হাতে তুলে দেন বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের আমন্ত্রণপত্রও।

Advertisement

নবান্ন সূত্রের খবর, হাসিনা সরকারের আমন্ত্রণ পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। আবিদাকে মমতা জানিয়েছেন, সরকারের নানা কাজের চাপে তিনি এখন ব্যস্ত রয়েছেন। তবে সময় বার করতে পারলে নিশ্চয়ই বাংলাদেশ যাবেন।

চলতি মাসেই ডেপুটি হাইকমিশনারের পদ থেকে বিদায় নিচ্ছেন আবিদা। কলকাতা ছাড়ার আগে এক বার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে ছিল তাঁর। সেই অনুযায়ী মমতার সঙ্গে সৌজন্য-সাক্ষাতের ইচ্ছে প্রকাশ করে গত বুধবার ডেপুটি হাইকমিশনারের অফিস থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। পরের দিনই তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন সোমবার বিকেল ৪টেয়।

Advertisement

এ দিন বিকেলে নবান্নে পৌঁছে যান আবিদা। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা ধরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয় তাঁর। ফেরার সময় সাংবাদিকেরা তাঁর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলেও আবিদা দাঁড়াননি। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে মমতা ও আবিদার মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আবিদাকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার সদ্য-প্রয়াত নজরুল সঙ্গীতশিল্পী ফিরোজা বেগমকে মরণোত্তর সম্মান দিতে চায়। কী ভাবে সেটা দেওয়া সম্ভব, সেই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে তাঁরা আসতে পারেন কি না, সেই সমস্ত বিষয় নিয়েও দু’জনের কিছু ক্ষণ কথাবার্তা হয়। বিদায়ী ডেপুটি হাইকমিশনারের হাতে মুখ্যমন্ত্রী একটি শাড়ি ও উত্তরীয় তুলে দেন।

তৃণমূল সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরানের সঙ্গে কট্টর মৌলবাদী জামাতে ইসলামির যোগসাজশের যে-অভিযোগ উঠেছে, তার তদন্ত করছে হাসিনা সরকার। ইমরানের মাধ্যমে বেসরকারি অর্থ লগ্নি সংস্থা সারদার কোটি কোটি টাকা জামাতের হাতে গিয়েছে বলে অভিযোগ। কুটনৈতিক সূত্রের খবর, মমতা-আবিদা বৈঠকে এই নিয়ে কোনও কথাই হয়নি। বাংলাদেশের এক কূটনীতিক জানান, সৌজন্য সাক্ষাৎকারে এই ধরনের কোনও বিতর্কিত বিষয়ে কথা হয় না। মুখ্যমন্ত্রীও এই প্রসঙ্গ তোলেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement