—প্রতীকী ছবি।
জঙ্গি সংগঠনের সদস্য হওয়ার অভিযোগে পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা থেকে মহম্মদ হাবিবুল্লাহ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। তবে তাঁর কাছ জঙ্গি নেটওয়ার্ক সংক্রান্ত তথ্য উদ্ধার করা যাবে কি না, তা নিয়ে আপাতত সন্দিহান তদন্তকারীদের একাংশ। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, হাবিবুল্লাহের থেকে ল্যাপটপ, পেন ড্রাইভ, মেমোরি কার্ড ও দু’টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে তার থেকে তেমন তথ্য মেলেনি। প্রাথমিক ভাবে জেরায় গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, হাবিবুল্লাহ বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সঙ্গে যুক্ত ছিল। সে দেশে ওই সংগঠনের পাঁচ সদস্য গ্রেফতার হওয়ার পরেই সে নিজের ল্যাপটপ, মেমোরি কার্ড, মোবাইল ফোনের সব তথ্য মুছে দেয়। ওই তথ্য উদ্ধারে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হবে।
প্রাথমিক তদন্তে গোয়েন্দারা জেনেছেন, আল কায়দার মতাদর্শে বিশ্বাসী বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার কঠোর পদক্ষেপ করতেই ‘শাহদাত’ মডিউল খুলেছিল আনসার। এই মডিউলের সূত্রে আনসারের সঙ্গে আর এক বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর যোগ হয়। অনেক জেএমবি সদস্য ‘শাহদাত’ মডিউলে যোগ দেয়। এ রাজ্যে ওই মডিউলের মূল চাঁই ছিল হাবিবুল্লাহ। এই মডিউলে মূলত অনলাইনে সদস্য সংগ্রহ করা হত।
পুলিশের খবর, ভারত এবং বাংলাদেশে ‘জিহাদের’ মাধ্যমে ইসলামি ধর্মীয় রাষ্ট্রের পত্তন করাই মূল লক্ষ্য ছিল বলে জেরায় হাবিবুল্লাহ দাবি করেছে। তাই সমমনোভাবাপন্ন যুবক-যুবতীদের সংগঠনে নিয়োগ করার ছক কষা হয়েছিল। হাবিবুল্লাহকে গ্রেফতার করার পর গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, বিআইপি, টেলিগ্রাম ব্যবহার করেই এই মডিউল চলত। এই কাজে হাবিবুল্লাহের এক আত্মীয়ের যোগসূত্র জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রের দাবি।