(বাঁ দিকে) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার অভিযোগ তৃণমূলের নতুন নয়। বৃহস্পতিবার ইডির বিরুদ্ধে ‘হেনস্থা’র নতুন অভিযোগ তুললেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালীঘাটের বাড়ি লাগোয়া দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, ‘‘অভিষেকের জন্মের আগের নথি চাইছে। ওর বাবাকে বলেছে ৪০-৪২ বছর আগের কাগজ দিতে। আরে অভিষেক তো জন্মেছেই ১৯৮৭ সালে। আর বলছে ১৯৮২-৮৩ সালের কাগজপত্র দিতে!’’
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেকের সংস্থা ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর নাম জড়িয়েছে। সেই সূত্রেই অভিষেক, তাঁর বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়, মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। রুজিরা ছাড়া কেউই সশরীরে হাজিরা দেননি। প্রত্যেকেই নির্ধারিত দিনে আইনজীবী মারফত নথি পাঠিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সে প্রসঙ্গে জানান, অভিষেকের জন্মের আগের নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছিল তাঁর বাবার কাছে।
মমতা বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেন, তৃণমূলের নেতাদের তো বটেই, তাঁদের পরিবারকেও ছাড়ছে না। ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকার দাবিতে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে যখন রাজভবনের সামনে অভিষেকের নেতৃত্বে তৃণমূলের ধর্না চলছিল, সেই সময়ে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের বাড়িতে একই দিনে হানা দিয়েছিল সিবিআই। সেই প্রসঙ্গ তুলে মমতা বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘পুজোর আগে ববির বাড়িতে গিয়েছিল। ববির বৌ আমায় বলছিল, তদন্তের নামে বাড়িতে গিয়ে চিনি, ঘিয়ের কৌটোও উল্টে দিয়েছে। ক’টা শাড়ি আছে, ক’টা কসমেটিকস আছে তারও ছবি তুলেছে। যা ইচ্ছে তাই করে যাচ্ছে।” শুধু তা-ই নয়। মমতা এ-ও অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা শারীরিক অত্যাচারও করছে। তল্লাশির নামে যৌনাঙ্গে আঘাত করে এর, তার নাম বলিয়ে নিতে চাইছে বলেও দাবি তাঁর।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সল্টলেকের দু’টি বাড়িতে তল্লাশি শুরু করে ইডি। এর মধ্যেই দুপুরে কালীঘাটে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে জ্যোতিপ্রিয় ওরফে বালুর পাশে দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উদ্দেশে হুঁশিয়ারির সুরে দিদি এ-ও বলেন, ‘‘বালুর সুগার রয়েছে। ওর যদি কিছু হয়ে যায় তা হলে বিজেপি এবং ইডির বিরুদ্ধে এফআইআর করব।’’