TMC

পুজো ঘিরে প্রকাশ্যে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব, ধৃত ৭

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের দু’টি পুজো কমিটির মধ্যে বিবাদ শুরু হয় রাতে। ওই ওয়ার্ডের তৃণমূলের পুরপ্রতিনিধি মাম্পি বারিক কৈবর্তের স্বামী নীলকান্ত কৈবর্ত একটি পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কান্দি শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:৩১
Share:

—প্রতীকী ছবি।

দুই পুজো কমিটির মধ্যে বিবাদে বিজয়া দশমীর রাতভর উত্তেজনা ছিল মুর্শিদাবাদের কান্দিতে। মারামারিতে দু’পক্ষের মোট আট জন জখম হন। তৃণমূলের এক পুরপ্রতিনিধির বাড়িও ভাঙচুর হয়েছে। পুলিশ মোট সাত জনকে গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের দু’টি পুজো কমিটির মধ্যে বিবাদ শুরু হয় রাতে। ওই ওয়ার্ডের তৃণমূলের পুরপ্রতিনিধি মাম্পি বারিক কৈবর্তের স্বামী নীলকান্ত কৈবর্ত একটি পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা। এলাকার অন্য একটি পুজো কমিটির সঙ্গে জড়িত লোকজন তাঁকে মারধর করে বলে দাবি। তার পরে নীলকান্তের পুজোর কয়েক জন সদস্য ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি গুরুপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে তাদেরও ধাক্কাধাক্কি করা হয় বলে দাবি।

গুরুপ্রসাদকে ঘিরে তৃণমূলের অন্দরের এই বিবাদ প্রকাশ্যে চলে এসেছে বলে মত শাসক দলেরই একাংশের। গুরুপ্রসাদ বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেন। পরে বিজেপি ছেড়ে কান্দিতে নির্দল প্রার্থী হিসাব দাঁড়িয়ে জিতে তৃণমূলে যোগ দেন। এখন তিনি দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কমিটির সদস্য। গুরুপ্রসাদের দাবি, “ওই ঘটনার সঙ্গে দল বা রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।”

Advertisement

পুরপ্রধান জয়দেব ঘটক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রায় রাতভর উত্তেজনা ছিল এলাকায়। জয়দেব বলেন, “পুর এলাকায় এমন অশান্তি কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement