বিধানসভায় বি. আর আম্বেডকরের মুর্তির নিচে জাতীয় সঙ্গীত গেলে প্রতিবাদ বিজেপি বিধায়কদের। নিজস্ব চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীতের ‘অবমাননা’র অভিযোগ তুললেন মুম্বইয়ের বিজেপি। এই মর্মে তৃণমূলনেত্রীর বিরুদ্ধে পুলিশে একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। আক্রমণে নেমে পড়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতৃত্বও। এ বার সেই ঘটনাটিকে হাতিয়ার করে বিধানসভায় জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে প্রতিবাদ জানালেন বিজেপি বিধায়করা। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় সংবিধান-প্রণেতা বিআর অম্বেডকরের মূর্তির পাদদেশে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে প্রতিবাদ করেন। শুভেন্দু ছাড়াও এই প্রতিবাদে সামিল হন বিধায়ক মিহির গোস্বামী, বিমান ঘোষ, শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী, সত্যেন রায়, বিশ্বনাথ কারক, রবি মাইতি, শীতল কপাট ও সুশান্ত ঘোষ প্রমুখ। পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূলও।
পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে বিজেপি-র অভিযোগ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার টুইট করেন। তিনি লেখেন, ‘জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন কুৎসা করছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী ‘জন গণ’ গাননি। গানের শব্দ ধরে ভাবার্থ বিশ্লেষণ করে দেশের ঐক্য, ঐতিহ্য, সম্প্রীতি, সংহতির কথা তুলে ধরছিলেন। বিজেপি না বোঝে প্রকৃত জাতীয়তাবাদ, না বোঝে জাতীয় সঙ্গীত, না বোঝে জাতীয় সংহতি।’
মঙ্গলবার মুম্বই সফরে গিয়েছিলেন মমতা।২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বিজেপি-বিরোধী দলগুলিকে একত্রিত করার কাজ শুরু করে দিয়েছেন তিনি। আর সেই লক্ষ্যেই মুম্বইয়ে শিবসেনা এবং এনসিপি নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের সঙ্গে বৈঠকের পর একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূলনেত্রী। মমতা বিশিষ্টজনদের সঙ্গেও একটি বৈঠক করেন। সেই বৈঠকেই জাতীয় সঙ্গীতকে ঘিরে ‘বিতর্কের’ সূত্রপাত। জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে প্রতিবাদের পর শুভেন্দু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মুম্বইয়ে গিয়ে যা ঘটিয়েছেন তা লজ্জার। তাই আমরা জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে ভারত মায়ের কাছে ক্ষমা চাইলাম।’’