কোচবিহারের গীতালদহে তৃণমূলকর্মীর বাড়িতে দুষ্কৃতীদের হামলা। —নিজস্ব চিত্র।
কোচবিহারের গীতালদহে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার বিরুদ্ধে স্থানীয় এক ত়ৃণমূলকর্মীর বাড়িতে দুষ্কৃতী দিয়ে হামলা করানোর অভিযোগ করলেন পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি আবু আল আজাদ। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে জগদীশের পাল্টা দাবি, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের পদ খুইয়েই এলাকার সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করছেন আবু।
শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে গীতালদহ ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাগ্নির টারি এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার সকালে এলাকায় তৃণমূলকর্মী বলে পরিচিত হামিদুল মিয়ার বাড়িতে এক দল দুষ্কৃতী হামলা চালায়। তাদের এলোপাথাড়ি গুলিতে আহত হন হামিদুল। গুলিচালনায় একটি গবাদি পশুও জখম হয়েছে। হামিদুলের মাথায় গুলি লাগে। খবর পেয়ে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ এক দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে দলবল নিয়ে এসে ওই দুষ্কৃতীরা তাদের সঙ্গীকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। যদিও এই ঘটনায় কেউ আটক হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
হামলায় হামিদুল মিয়াঁর মাথায় গুলি লাগে বলে অভিযোগ। —নিজস্ব চিত্র।
এই ঘটনায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তরজা শুরু হয়েছে। একে অপরের দিতে দোষারোপ করেছেন জগদীশ এবং আবু। গীতালদহ ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি আবু আল আজাদের অভিযোগ, জগদীশের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে। গোটা ঘটনায় আবুর হাত রয়েছে বলে পাল্টা দাবি জগদীশের। তিনি বলেন, ‘‘অনাস্থা ভোটে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের পদ চলে যাওয়ার পর থেকেই গীতালদহ এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছেন আবু আল আজাদ। গত কাল রাতেও তিনি একই ঘটনা ঘটিয়েছেন। আজকের ঘটনার সঙ্গে আবু সরাসরি যুক্ত।’’