একুশের আগে ফের দ্বন্দ্বে যুব কংগ্রেস

প্রদেশ কংগ্রেস দফতর বিধান ভবনে শুক্রবার ছিল যুব কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক। তার পরে মৌলালি মোড়ে যুব কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভ ছিল উত্তরপ্রদেশে প্রিয়াঙ্কা গাঁধী বঢরাকে আটক করার প্রতিবাদে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৯ ০২:৩২
Share:

প্রতীকী ছবি।

একুশে জুলাই আন্দোলন করেছিলেন যুব কংগ্রেসের তৎকালীন সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কর্মসূচির পরম্পরা তৃণমূলে টেনে নিয়েছেন তিনি। তবে প্রথামাফিক সাবেক যুব কংগ্রেস তাদের মতো করে বাৎসরিক 'শহীদ স্মরণ' করে। মমতার সভা শেষ হওয়ার পরে আজ, রবিবার ওয়েলিংটনের পুরোনো প্রদেশ কংগ্রেস দফতর এলাকা থেকে রাজীব গাঁধীর মূর্তি পর্যন্ত মিছিল করবে তারা। কিন্তু একুশের প্রাক্কালে যুব কংগ্রেসের গোষ্ঠী-দ্বন্দ্ব গড়াল শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে নালিশ এবং থানা-পুলিশ পর্যন্ত!

Advertisement

প্রদেশ কংগ্রেস দফতর বিধান ভবনে শুক্রবার ছিল যুব কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক। তার পরে মৌলালি মোড়ে যুব কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভ ছিল উত্তরপ্রদেশে প্রিয়াঙ্কা গাঁধী বঢরাকে আটক করার প্রতিবাদে। বৈঠকের পরে এবং বিক্ষোভ থেকে ফিরে বিধান ভবন চত্ত্বরে দু'বার মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন দু'দল যুব কর্মী। আহত হন কয়েক জন। রাতে এন্টালি থানায় এক পক্ষ অপর পক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করে। এই ঘটনাকে প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি শাদাব খান এবং সংগঠনের আর এক নেতা রোহন মিত্রের অনুগামীদের লড়াই হিসেবেই দেখা হচ্ছে। বাংলার ভারপ্রাপ্ত এআইসিসি নেতা গৌরব গগৈ এবং যুব কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত সর্বভারতীয় নেতা দীপক মিশ্রের কাছে গোটা ঘটনার অভিযোগ গিয়েছে। দুজনেই শুক্রবার বিধান ভবনে মূল ও যুব কংগ্রেসের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের ছেলে রোহন অবশ্য শনিবার দাবি করেছেন, তাঁর এক সমর্থক কে প্রথমে মারধর করা হয়। অশান্তি যাতে না গড়ায়, তার জন্য তিনিই পরে হস্তক্ষেপ করেছিলেন। রোহনের কথায়, "বিধান ভবনে এখন সিসিটিভি আছে। সেই ফুটেজ দেখে কে কী করেছে, চিহ্নিত করা হোক। আমার বাবা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলে বারবার আমাদের বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে! আমি তো ছেলেদের ঠেকিয়েছিলাম!" যুব সভাপতি শাদাব বলেন, "বিক্ষোভ থেকে ফিরে বিধান ভবন থেকে বাইক নেওয়ার সময় যে গন্ডগোল হয়েছে, সেই সময় আমি ওখানে ছিলাম না। পুরো বিষয়টি গৌরবজি জানেন।" গৌরব অবশ্য মন্তব্য করতে চাননি। তাঁকে এই ঘটনার উদাহরণ দিয়ে কংগ্রেস পরিচালনার সঙ্কটের কথা জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement