সরকারি বাস পরিষেবায় শুরু হচ্ছে স্মার্ট কার্ড। ফাইল চিত্র।
কলকাতা মেট্রোর ধাঁচেই এ বার সরকারি বাস পরিষেবায় স্মার্ট কার্ড আনতে উদ্যোগী হল পরিবহণ দফতর। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে পরীক্ষামূলক কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের ৭০০ বাসকে স্মার্ট কার্ডের আওতায় আনার প্রস্তাব জমা পড়েছে বলে খবর। ধাপে ধাপে সব ক’টি পরিবহণ নিগমেই স্মার্ট কার্ড পরিষেবা চালু করার পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে। নতুন এই পদ্ধতিটি একটি বেসরকারি সংস্থা পরিচালনা করবে। উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ এবং পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম মিলিয়ে রাজ্যে প্রায় আড়াই হাজারের বেশি সরকারি বাস চলে। স্মার্ট কার্ড পরিষেবা চালু করে গোটা বাস পরিষেবাটাকেই এক সুতোয় বাঁধতে চায় পরিবহণ দফতর।
আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহার, সর্বত্রই অভিন্ন এই কার্ডের মাধ্যমেই রাজ্যর সর্বত্র যে কোনও সরকারি বাসে ভ্রমণ করতে পারবেন যাত্রীরা। নতুন এই ডিজিটাল পরিষেবা শুরু হলে পরিবহণ দফতরের বহু দুর্নীতি আটকানো যাবে বলে মনে করছেন পরিবহণ দফতরের কর্তারা। হাতে টিকিট কাটার প্রক্রিয়ায় অনেক ক্ষেত্রেই গরমিল থাকে। সরকারি বাস পরিষেবায় নজরদারির অভাবে বহু যাত্রী টিকিট কাটেন না। কিংবা কম ভাড়ার টিকিট কাটেন বলে পরিবহণ দফতরের বিস্তর ক্ষতি হচ্ছে বলে দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। মন্ত্রী হিসাবে ফিরহাদ হাকিম পরিবহণ দফতরের দায়িত্বে আসার পর এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন কর্মীদের সঙ্গে। তিনিও মনে করেন, স্মার্ট কার্ড সর্বত্র চালু হলে ডিজিটাল লেনদেনের সৌজন্যে আয় বাড়তে পারে পরিবহণ দফতরের।
এ ক্ষেত্রে কলকাতা মেট্রোকে নিজেদের মডেল হিসাবে দেখছে পরিবহণ দফতর। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘এই কার্ডের কারণে এ বার থেকে ভাড়া চুরি বা তাতে গরমিল ঠেকানো যাবে। যাত্রীরা আগাম ভাড়া দিয়ে স্মার্ট কার্ড কিনলে আয়ের নতুন সুযোগও তৈরি হবে। দফতরের আর্থিক লাভ হলে আমরা যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের দিকেও নজর দিতে পারব।’’ কোনও যাত্রীকে স্মার্ট কার্ড কিনতে হলে সিকিওরিটি ডিপোজিট দিতে হবে। ফলে এই স্মার্ট কার্ডের পদক্ষেপে ভাল আয়ের সুযোগ দেখছে পরিবহণ দফতর।