পরের দিন, বৃহস্পতিবার ডিওয়াইএফআইয়ের সর্বভারতীয় সম্মেলন উপলক্ষে কলকাতার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে যে সমাবেশ আছে, সেখানে এসে মিশবে ওই পদযাত্রা। মীনাক্ষীর মন্তব্য, ‘‘এই সম্মেলন ঘোষণার পর থেকে আমাদের ৮ জন সতীর্থকে আমরা হারিয়েছি। এ সবের জবাব আমরা নেব!’’
দীনেশ মজুমদার ভবনে ডিওয়াইএফআই সর্বভারতীয় সম্মেলনের অভ্যর্থনা কমিটির চেয়ারম্যান, অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী। নিজস্ব চিত্র।
লোকসভা ও বিধানসভায় এ রাজ্যে বামেরা এখন শূন্য। সেই শূন্য থেকেই নতুন করে পথ চলা শুরু হয়েছে। এই কাজে অগ্রণী ভূমিকা নিচ্ছে বামেদের যুব প্রজন্ম। সিপিএমের যুব সংগঠনের আসন্ন সর্বভারতীয় সম্মেলন উপলক্ষে এমন দাবিই করলেন অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী।
বিধাননগরের পূর্বাঞ্চলীয় সংস্কৃতি কেন্দ্রে (ইজ়েজসিসি) ডিওয়াইএফআইয়ের একাদশতম সর্বভারতীয় সম্মেলন হবে আগামী ১২ থেকে ১৫ মে। সম্মেলনের জন্য গঠিত অভ্যর্থনা কমিটির চেয়ারম্যান সব্যসাচীবাবু সোমবার দীনেশ মজুমদার ভবনে ডিওয়াইএফআইয়ের দফতরে এসে বলেন, ‘‘শূন্য মানে শেষ নয়। শূন্য থেকে আবার নতুন করে শুরু হয়। ভোটের ফলাফলই একমাত্র মাপকাঠি নয়। পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য বহু মানুষ বামপন্থায় বিশ্বাস করেন।’’ অতিমারি পরিস্থিতি এবং আমপান, ইয়াসের মতো দুর্যোগের ক্ষেত্রে বাম যুব-ছাত্রেরা যে ভাবে কাজ করেছেন, তার প্রশংসা করে সব্যসাচীবাবুর মত, ‘‘এই কাজ সরকারও করতে পারত। কিন্তু সরকার তাতে ব্যর্থ হয়েছে।’’ যুব সম্মেলনে দেশের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামো রক্ষা এবং কর্মসংস্থানের দাবির বিষয়েই মূল নজর দেওয়া হবে বলেও তাঁর বক্তব্য।
ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, গত বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাম যুবদের নবান্ন অভিযানে পুলিশের মারে ‘শহিদ’, বাঁকুড়ার কোতুলপুরের যুবক মইদুল ইসলাম মিদ্যার বাড়ি থেকে কাল, বুধবার একটি পদযাত্রা শুরু হবে। পরের দিন, বৃহস্পতিবার ডিওয়াইএফআইয়ের সর্বভারতীয় সম্মেলন উপলক্ষে কলকাতার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে যে সমাবেশ আছে, সেখানে এসে মিশবে ওই পদযাত্রা। মীনাক্ষীর মন্তব্য, ‘‘এই সম্মেলন ঘোষণার পর থেকে আমাদের ৮ জন সতীর্থকে আমরা হারিয়েছি। এ সবের জবাব আমরা নেব!’’