ছবি: সংগৃহীত।
ইংরেজির স্নাতকে আসন ১০৭টি। অথচ মেধা তালিকায় নাম রয়েছে ৮৭জনের। শুধু ইংরেজি নয়, পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা কলেজের সব বিভাগেই আসনের থেকে কম সংখ্যক পড়ুয়ার নামের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। আর এতেই অনিয়মের আশঙ্কা করছে বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলি। যদিও কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে স্বচ্ছতা বজায় রেখেই বাকি আসনে পড়ুয়া ভর্তি হবে।
কলেজের টিচার ইনচার্জ দেবাশিস দাস এ ক্ষেত্রে যান্ত্রিক গোলযোগের ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। তাঁর দাবি, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের যে এজেন্সি অনলাইনের কাজ করেছে, তাদের যান্ত্রিক ত্রুটিতে ওই আসনগুলি ফাঁকা থেকে গিয়েছে।’’ কিন্তু সেই গোলযোগের কথা জেনেও কেন কলেজ কর্তৃপক্ষ ভর্তি বন্ধ করে দিলেন না? তার সদুত্তর দেবাশিসবাবুর কাছে মেলেনি। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কলেজ পরিদর্শক অভিজিৎ রায়চৌধুরী বলছেন, “কেন ভর্তি বন্ধ করা হয়নি, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ আর শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘‘যত ইচ্ছে অনিয়ম করুক। কাউকে ছাড়া হবে না।’’
গত ১৬ জুন পিংলা থানা মহাবিদ্যালয়ে স্নাতকে আবেদনকারী পড়ুয়াদের নামের খসড়া মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়। বলা হয়েছিল, তালিকা নিয়ে অভিযোগ থাকলে ১৭ জুনের মধ্যে জানাতে হবে। ভুল থাকলে চূড়ান্ত মেধা তালিকায় শুধরে নেওয়া হবে। গত ২০ জুন অনলাইনে প্রকাশিত হয় চূড়ান্ত মেধা তালিকা। তাতেই বিভিন্ন বিভাগে মোট আসনের তুলনায় কম সংখ্যক পড়ুয়ার নাম ঠাঁই পেয়েছে। যেমন, বাংলায় ১২৫টি আসনের জন্য ১২৩জনের, ভূগোলে ৭০টি আসনের জন্য ৬৭জনের নাম মেধা তালিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
কয়েক জন অভিযোগও জানান। তবে তাতে গুরুত্ব না দিয়ে ২১ থেকে ২৩ জুনের মধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া সেরে ফেলে কলেজ। অবশিষ্ট আসনে ২৭ জুন কাউন্সেলিং করে মেধার ভিত্তিতে পড়ুয়া ভর্তি করা হবে বলে কলেজ জানিয়েছে। যদিও ইংরেজি অনার্সের মেধা তালিকায় ঠাঁই না পাওয়া এক ছাত্রীর অভিযোগ, “কলেজ বলছে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে ভর্তি হবে। কিন্তু ছাত্র সংসদের দাদারা তো বাড়তি টাকা লাগবে বলছে।”
অনিয়ম ঠেকাতে রাজ্য জুড়ে অনলাইনে কলেজে ভর্তি চালু হয়েছে আগেই। মেধার ভিত্তিতে ভর্তির কথা বলছেন শিক্ষামন্ত্রীও। কিন্তু বিরোধীদের বক্তব্য, ভর্তির ক্ষেত্রে শাসক দলের ছাত্র সংগঠন দাপট চালিয়েই যাচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রীও দায় এড়াতে পারেন না।