পণ্যবাহী ভারতীয় জলযান ‘বার্জ ৬’। নিজস্ব চিত্র।
হুগলি নদীতে মুখোমুখি ধাক্কা খেল দু’টি পণ্যবাহী বার্জ। এর মধ্যে একটি ভারতীয় বার্জ। নাম ‘বার্জ ৬’। সাগর থেকে কয়লা নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে যাচ্ছিল এই বার্জটি। অন্যটি বাংলাদেশের। নাম ‘এনভি বাংলার শক্তি-২’। ডায়মন্ড হারবারের সুলতানপুরে রবিবার ভোরে এই বাংলাদেশি পন্যবাহী জলযানটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে ভারতের ‘বার্জ ৬’-এর। তাতে ভারতীয় যানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঘন কুয়াশার কারণেই দু’টি পণ্যবাহী যানের অবস্থান ঠাওর করা যায়নি বলে অনুমান। আচমকা ধাক্কায় কয়লা বোঝাই ভারতীয় জলযানটির ডানদিকের পাটাতন ফেটে জল ঢুকতে শুরু করে। ঘটনার আকস্মিকতায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বার্জের চালক-সহ ৯ জন কর্মী। বার্জটিকে ডুবে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে কর্মীরা পাম্পের সাহায্যে পাটাতনের ভিতর থেকে জল বার করতে শুরু করেন। ক্ষতিগ্রস্ত বার্জটিকে তড়িঘড়ি ডায়মন্ড হারবারের জেটি ঘাটের কাছে টেনে আনা হয়। রবিবার সকাল থেকে দ্রুততার সাথে সেটিকে মেরামতের কাজও শুরু করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় বাংলাদেশি বার্জটির কোন ক্ষতি হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
সাগরের লাইট হাউস থেকে কয়লা নিয়ে খিদিরপুর ফিরছিল বার্জ ৬। অন্য দিকে বজবজ থেকে ছাই ভর্তি করে 'এনভি বাংলার শক্তি-২' নামে বাংলাদেশি বার্জটি ফিরছিল সাগরের দিকে। রবিবার ভোরে ঘন কুয়াশার কারণেই সুলতানপুরের কাছে নদীতে আচমকা দুটি বার্জ মুখোমুখি চলে আসে। চালক কিছু বুঝে ওঠার আগেই সংঘর্ষ হয়। বাংলাদেশি বার্জটিকেও জেটি ঘাটের কাছেই নোঙর করা হয়েছে। ঘটনার পর পোর্ট ট্রাস্ট এবং স্থানীয় থানার পুলিশ এলাকায় টহলদারি চালাতে শুরু করে। তবে জলপথে পোর্ট ট্রাস্টের এত নজরদারির পরও কী ভাবে একই চ্যানেলের মধ্যে দুটি বার্জ মুখোমুখি চলে এল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দুই বার্জের সব কর্মীই সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।