trade

India Trade: সঙ্কট কালে নয়া বাণিজ্য জোটেই ভরসা ভারতের

মোদী না বললেও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই মঞ্চ থেকেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে মস্কোর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২২ ০৬:৩৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

গোটা বিশ্বে আর্থিক অনিশ্চয়তার মধ্যে আই২ইউ২-র নতুন জোট বাস্তবিক সহযোগিতার নতুন মডেল হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছে ভারত। বৃহস্পতিবার ভিডিয়ো মাধ্যমে ভারত, আমেরিকা, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং ইজ়রায়লের মধ্যে তৈরি হওয়া জোটের শীর্ষ সম্মেলনে এ কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement

এ’টি এই চতুর্দেশীয় অক্ষের প্রথম শীর্ষ বৈঠকও বটে। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “প্রথম সম্মেলন থেকেই আই২ইউ২ ইতিবাচক কর্মসূচি স্থাপনকরেছে। আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেশ কিছু যৌথ প্রকল্প চিহ্নিত করেফেলেছি, এগিয়ে চলার পথনির্দেশিকাও তৈরি হয়েছে।”

যে হেতু আমেরিকা এবং ইজ়রায়েল রয়েছে অক্ষে এবং এ’টি মূলত পশ্চিম এশিয়াকে লক্ষ্য রেখে তৈরি হওয়া গোষ্ঠী, তাই ইরানকে কোণঠাসা করা লক্ষ্য কি না এই প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু বৈঠকের প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে অথবা সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশসচিব বিনয় কোয়াত্রা উড়িয়ে দিয়েছেন সেই সম্ভাবনা। নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে বার বার স্পষ্ট করতে চাওয়া হচ্ছে, যে এই দেশগুলির নিজেদের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক থাকতে পারে। কিন্তু আই২ইউ২ সম্মিলিত ভাবে নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যেই তৈরি, বেসরকারি সংস্থাগুলিকে নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে যৌথ প্রকল্পে এগিয়ে দেওয়াটা যার প্রধান উদ্দেশ্য।

Advertisement

মোদী তাঁর উদ্বোধনী বক্তৃতায় বলেছেন, “এই কাঠামোয় ছ’টি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে যৌথ বিনিয়োগ বাড়ানো নিয়ে আমরা একমত হয়েছি। সেগুলি হল জল, শক্তি, যোগাযোগ, মহাকাশ, স্বাস্থ্য এবং খাদ্য নিরাপত্তা। এটা স্পষ্ট যে আই২ইউ২-এর অভিমুখ সামনের দিকে এবং তাবাস্তবের মাটিতে দাঁড়ানো।” প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “আমাদের যে যার দক্ষতা, বাজার, পুঁজি এবং বিশেষ পারদর্শিতাকে একজোট করলে কর্মসূচি দ্রুত রূপায়ণ সম্ভব। আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারব।"

মোদী না বললেও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই মঞ্চ থেকেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে মস্কোর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। তাঁর কথায়, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার একতরফা নির্মম হামলার পর শক্তি ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা বেড়েছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে খাদ্য সঙ্কট। এখন একটা শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে। এই গোষ্ঠী পরিকাঠামো ক্ষেত্রেনতুন প্রকল্প চিহ্নিত করে একত্রে বিনিয়োগ করবে।”

আপাতত যে দু’টি বিনিয়োগ ক্ষেত্র চিহ্নিত হয়েছে তার মধ্যে একটি হল খাদ্য করিডর বা খাদ্য পার্ক। ভারতের গুজরাত এবং মধ্যপ্রদেশে করিডর করার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ২০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে। বিদেশসচিব জানিয়েছেন, এর ফলে প্রান্তিক এবং দরিদ্র কৃষকদের উপকার হবে। তারা তাদের শস্যআই২ইউ২-ভুক্ত রাষ্ট্রগুলির পাশাপাশি পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিতেও রফতানি করতে পারবে। এই চার দেশের বিভিন্ন বেসরকারিসংস্থাকে বাণিজ্য ও রফতানিতে কাজে লাগানো হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement