আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের ছাদে স্বাধীনতা দিবস পালন। ডান দিকে, কলকাতায় প্রদেশ কংগ্রেসের ‘গৌরব ও ঐক্য যাত্রা’। নিজস্ব চিত্র।
জাতীয় পতাকা তুলতে গিয়ে বিভ্রাট বেধেছিল গত বছর! এ বার কোনও হোঁচট ছাড়াই স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করল বামেরা। আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিএমের রাজ্য দফতরের ছাদে সোমবার জাতীয় পতাকা তুলেছেন দলের বর্ষীয়ান নেতা বিমান বসু। ছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, পলিটবুরোর সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্র, রামচন্দ্র ডোম ও অন্যান্য নেতৃত্ব। স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপন করতে গিয়ে আরএসএস-বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদীর জমানাকেই নিশানা করেছে বামেরা। বিমানবাবুর বক্তব্য, মোদী শুধু সাভারকরের কথা বলছেন। আরএসএস পরিবারের বাইরে উনি কিছুই জানেন না! স্বাধীনতার প্রকৃত সেনানীদের কথা বলা হচ্ছে না, ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টাও হচ্ছে।
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতেই স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপন করে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করে দেশ ও সংবিধান রক্ষার শপথ নিয়েছেন বাম ও কংগ্রেস নেতারা। প্রদেশ কংগ্রেসের ডাকে এ দিন ধর্মতলার টিপু সুলতান মসজিদ থেকে রামমন্দির পর্যন্ত হয়েছে ‘গৌরব ও ঐক্য যাত্রা’। বৃষ্টির মধ্যেই গান্ধীজি, নেতাজি, মাতঙ্গিনী হাজরার মতো স্বাধীনতার যোদ্ধাদের ‘জীবন্ত মডেল’ নিয়ে পদযাত্রা করেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী অবশ্য স্বাধীনতার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন বহরমপুরে। কলকাতার পদযাত্রায় ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক অসিত মিত্র, শুভঙ্কর সরকার, সুমন পাল, রানা রায়চৌধুরী, কামারুজ্জামান কামার, শাদাব খান, সৌরভ প্রসাদ, তপন আগরওয়ালেরা। সাম্প্রদায়িক ও সামাজিক বিভাজন রোখার পাশাপাশি দেশকে বিক্রি করে দেওয়ার বিজেপির ‘চক্রান্তে’র বিরুদ্ধে শপথ নেওয়া হয় রামমন্দিরের সামনে। চারু মার্কেট এলাকায় প্রদেশ কংগ্রেস নেতা আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সংবিধান বিলি করেছেন কংগ্রেস কর্মীরা। ঢাকুরিয়ায় এ দিন সিপিআই আঞ্চলিক পরিষদের উদ্যোগে স্বাধীনতা উদযাপনে ছিলেন দলের কলকাতা জেলা সম্পাদক প্রবীর দেব-সহ অন্য নেতারা।