—ফাইল চিত্র।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের এক তৃণমূল বিধায়ককে তলব করল আয়কর দফতর। পটাশপুরের তৃণমূল বিধায়ক উত্তম বারিককে তলব করা হয়েছে। উত্তম জেলা পরিষদের সভাধিপতিও। রবিবার তিনি নিজেই আয়কর-তলবের কথা জানালেন। তিনি জানান, ২০১৭-’১৮ অর্থবর্ষে আয়করে গরমিলের অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য তাঁকে নোটিস পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। যদিও গরমিলের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক।
দলীয় সূত্রে খবর, ইমেলে নোটিস পাঠানো হয়েছে উত্তমকে। আগামী ৮ জানুয়ারি বেলা ১২টার মধ্যে বিধায়ক বা তাঁর কোনও প্রতিনিধিকে ২০১৭-’১৮ বর্ষের আয়করের তথ্য নিয়ে কলকাতার দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে। উত্তমও বলেন, ‘‘ওই বছর নাকি আমার আয়কর জমা পড়েনি। নোটিসে তো তা-ই জানিয়েছে। যদিও এ রকম কোনও গরমিলের কথা আমার জানা নেই। আমার কাছে যা হিসাব আছে, আয়কর দফতরের কাছে পাঠিয়ে দেব। যদি কিছু পায়, সেই মতো পদক্ষেপ করবে ওরা।’’
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে একই ভাবে মন্ত্রী অখিল গিরি ও তাঁর ছেলে সুপ্রকাশ গিরিকেও নোটিস পাঠিয়েছিল আয়কর দফতর। লোকসভা নির্বাচনের আগে শাসকদলের আরও এক বিধায়ককে তলব ঘিরে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। উত্তম বলেন, ‘‘স্বাভাবিক নিয়মে একটা প্রশ্নচিহ্ন আসবেই যে, ২০১৭-’১৮ সালের গরমিল নিয়ে ২০২৩ সালে কেন প্রশ্ন তোলা হচ্ছে? তবে আমি বিষয়টিকে এতটা গভীর ভাবে দেখছি না। আমার আয়করে যদি কোনও গরমিল দেখা দেয়, তা হলে অবশ্যই আমাকে সেই কর মেটাতে হবে। এতে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’’
অন্য দিকে, বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি অসীম মিশ্রের দাবি, “ঝুলি থেকে এ বার বেড়াল বেরিয়ে পড়েছে! সবেমাত্র আয়কর দফতর প্রেমপত্র পাঠিয়েছে। এর পর ইডি-সিবিআই এদের কোমরে দড়ি বেঁধে নিয়ে যাবে। বিরোধী দলের সদস্যদের নিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করেছেন উত্তম বারিক। টাকার জোরে গত কয়েক বছরে পূর্ব মেদিনীপুরের একের পর এক পঞ্চায়েত গায়ের জোরে দখল করেছেন। জেলা জুড়ে অরাজকতা সৃষ্টি করেছেন এই নেতানেত্রীরা। এত টাকার উৎস কী, তা জানতেই আয়কর নোটিস পাঠিয়েছে। আগামী দিনে এদের জেলের ঘানি টানতে হবে।”