১৫ নভেম্বর বিরসা মুন্ডার জন্মদিনে ঝাড়গ্রামে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রীর নদিয়া সফরের মধ্যেই পরবর্তী সফরের সূচি তৈরি করে ফেলল নবান্ন। সব ঠিকঠাক চললে আগামী ১৫ নভেম্বর বিরসা মুন্ডার জন্মদিনে ঝাড়গ্রামে যাবেন তিনি। ঝাড়গ্রামে এক দিনের ঝটিকা সফর সেরে ১৫ তারিখেই কলকাতায় ফিরে আসবেন মমতা। নবান্ন সূত্রে খবর, ওই দিন বিনপুর-২ ব্লকের বেলপাহাড়িতে একটি সরকারি সভা করতে পারেন তিনি। বিরসা মুন্ডাকে সম্মান জানাতেই তাঁর এই সফর বলে মনে করা হচ্ছে। মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে সরকারি পর্যায়ে একটি বৈঠক হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেখানেই ঠিক হয়েছে বেলপাহাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি সভা হবে। যেখানে বিরসা মুন্ডার জন্মদিন পালন করা হতে পারে। পাশাপাশি বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারেন তিনি। চলতি বছর মে মাসেই মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে ঝাড়গ্রাম গিয়েছিলেন। শুধু মাত্র আদিবাসী সম্প্রদায়ের বরেণ্য নেতা বিরসা মুন্ডার জন্মদিনের যোগ দিতে তাঁর এই সফর বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরকে পুরোপুরি রাজনৈতিক সফর বলেই ধরেছেন বাংলার রাজনীতির কারবারিরা। আগামী বছরের পঞ্চায়েত ও ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখেই তাঁর এই সফর বলে ব্যাখ্যা করছেন তারা। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে আদিবাসী ভোট প্রায় পুরোটাই চলে গিয়েছিল গেরুয়া শিবিরের পক্ষে। ফলস্বরূপ জঙ্গলমহলের সবক’টি আসনেই জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থীরা। তবে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি থেকে শুরু করে একের পর এক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সেই ভোটব্যাঙ্ক ফিরিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু, এ বছরই দেশের রাষ্ট্রপতি পদে আদিবাসী সম্প্রদায়ের দ্রৌপদী মুর্মুকে বসিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। তাই মনে করা হচ্ছে আগামী পঞ্চায়েত ভোট তো বটেই লোকসভা নির্বাচনে আদিবাসীদের ভোট যেতে পারে গেরুয়া শিবিরের দিকে।
তৃণমূলের আদিবাসী ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখেই মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রশাসনিক সফর রাখা হয়েছে বলে রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন। তবে নবান্নের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী এই ঝাড়গ্রাম সফর নিয়ে কোনও রাজনীতি দেখা উচিত নয়। মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর পুরোপুরি প্রশাসনিক সফর। যেখানে তিনি বিরসা মুন্ডাকে সম্মান জানানোর পাশাপাশি বেশ কিছু সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।”