অনুব্রত মণ্ডল ‘ঘনিষ্ঠ’ দুই ব্যবসায়ীকে তলব ইডি-র। — ফাইল চিত্র।
গরু পাচার মামলায় সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে আগেই। এ বার দিল্লি গিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) দফতরে হাজিরা দিলেন ব্যবসায়ী মলয় পিট। বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত মলয়। ওই একই মামলায় দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে বীরভূমের চালকল মালিক রাজীব ভট্টাচার্যকেও। তিনিও অনুব্রত ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত।
গরু পাচার মামলায় এর আগে একাধিক বার মলয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। শান্তিনিকেতনে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবির এবং কলকাতার নিজাম প্যালেসেও তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। এ বার তাঁকে ডেকে পাঠাল ইডি। মলয়কে সরাসরি তলব করা হয়েছে দিল্লিতে। বুধবার তিনি দিল্লিতে ইডির দফতরেও গিয়েছেন। অনুব্রতের ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত তথা শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের কর্ণধার মলয়। বোলপুরের ‘সতীর্থ’ এবং ‘স্বাধীন’ নামে দু’টি ট্রাস্টের আর্থিক লেনদেনে নজর ছিল সিবিআইয়ের। সেই ট্রাস্টের কর্ণধার মলয়। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে মলয়কে ওই দুটি ট্রাস্টের আর্থিক লেনদেন নিয়ে বার বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মলয়ের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ তৈরির ক্ষেত্রে তাঁর অ্যাকাউন্টে অনুব্রতের আত্মীয় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিতদের টাকার লেনদেন হয়েছে। সিবিআইয়ের সন্দেহ, ওই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে গরু পাচারের টাকাও লেনদেন হয়েছে। এ সব নিয়ে এ বার মলয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ইডি।
বোলপুরের বাসিন্দাদের অনেকেই জানেন অনুব্রত তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ এক ব্যবসায়ীর গাড়িতে চড়ে ঘুরতেন। বীরভূমের সেই ‘বড়’ ব্যবসায়ী মলয়। রাজ্যে বহু বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মিত হয়েছে মলয়ের হাত ধরে। তিনি রাজ্যে অন্তত কয়েকশো স্কুল, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বিএড কলেজ, পিটিটিআই প্রতিষ্ঠান, নার্সিং ইনস্টিটিউট, আইআইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ইন্টারন্যাশনাল স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন। এ রাজ্যের বাইরে ত্রিপুরা, অসম, মেঘালয়, মিজোরাম, বিহার, ঝাড়খণ্ড, হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশেও ছড়িয়ে রয়েছে তাঁর শিক্ষা ব্যবসা।
ইডি তলব করেছে বীরভূমের চালকল মালিক তথা তৃণমূল নেতা রাজীবকেও। এ নিয়ে পঞ্চম বার রাজীবকে ডাকল ইডি। এর আগে রাজীবকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরাও।