শাহজাহান শেখ। ছবি: ফেসবুক।
ইডির আধিকারিকেরা তাঁর বাড়িতে হানা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত হয়েছেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিও। শনিবার বিকেলে এক অডিয়োবার্তা ছাড়া এখনও বেপাত্তা রয়েছেন সন্দেশখালির শাহজাহান শেখ। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির অভিযোগ ‘ফেরার’ হয়ে গিয়েছেন সুন্দরবনের এই দাপুটে নেতা। খাতায়কলমে এখনও উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ শাহজাহান। কিন্তু সপ্তাহের প্রথম দিন সোমবারই সেই দায়িত্ব নিজের হাতে নিয়ে নিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী।
দায়িত্ব নেওয়ার পর সভাধিপতি নারায়ণ বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষের পরিষেবার ক্ষেত্রে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তাই আপাতত দায়িত্ব নিজের হাতে নিয়েছি।’’ অবশ্য এর বেশি আর কোনও বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাননি তিনি। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের পঞ্চায়েত ভোটে সন্দেশখালি থেকে জেলা পরিষদ আসনে জয়ী হয়ে কর্মাধ্যক্ষ হন শাহজাহান। শোনা যায়, সাংগঠনিক ভাবে দায়িত্বে না থাকলেও এ ক্ষেত্রে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অনুরোধেই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব শাহজাহানকে এই পদে বসিয়েছিল। কিন্তু সেই জ্যোতিপ্রিয় এখন হাসপাতালে থাকলেও ইডির হেফাজতে। আর এই ঘটনার পর শাহাজাহান নিয়ে কোনও কথা বলতে নারাজ তৃণমূলের কোনও নেতা।
অন্য দিকে, শাহজাহানের হাতে থাকা মৎস্য বিভাগের দায়িত্ব সভাধিপতি নিজের হাতে নেওয়ার পরে আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধীরা। বিজেপির তরফে আক্রমণের সুর চড়িয়ে অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, ‘‘তৃণমূল কী বুঝে গিয়েছে যে, শাহজাহান আর ফিরবে না? এতৎদিন তো ওই কুখ্যাত নেতার পাশে দাঁড়িয়েই তৃণমূলের নেতারা দাবি করছিল যে, জনরোষের মুখে পড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ইডির আধিকারিকেরা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আসলে তৃণমূল নেতৃত্বকে জানিয়েই হয়তো শাহজাহান গা ঢাকা দিয়েছে, কিংবা বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছে। তাই তো তড়িঘড়ি তাঁর দায়িত্ব জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিজে বুঝে নিয়েছেন। হাজার চেষ্টা করেও শাহজাহানকে বাঁচানো যাবে না।’’