Sandeshkhali Incident

সিবিআইয়ের নোটিস হাতে নিয়েও কুটি কুটি করে ছিঁড়ে ফেললেন ধৃত শাহজাহানের প্রতিবেশী! দেখলেন গোয়েন্দা

খোঁজ নেওয়া হয় রহমান আকুঞ্জি নামে এক জনের। হাতে নোটিস ছিল সিবিআই আধিকারিকের। কিন্তু ওই বাড়ির এক মহিলা সদস্য বেরিয়ে এসে জানান যে রহমান বাড়িতে নেই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা ও সন্দেশখালি শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৪ ১৯:২৯
Share:

সিবিআইয়ের দেওয়া নোটিস ছিঁড়ে ফেলে দিলেন এক মহিলা। —নিজস্ব চিত্র।

শাহজাহান শেখের ঘনিষ্ঠ এবং পরিবারের কয়েক জন সদস্যকে নিজ়াম প্যালেসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। পাশাপাশি সন্দেশখালি গিয়ে ইডির উপর হামলার তদন্ত করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ন্যাজাট থানার অন্তর্গত রাজবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। খোঁজ নেওয়া হয় শাহজাহান-ঘনিষ্ঠদেরও। সোমবার বিকেলে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা গিয়ে পৌঁছন শাহজাহানের পাশের বাড়িতে। খোঁজ নেওয়া হয় রহমান আকুঞ্জি নামে এক জনের। হাতে নোটিস ছিল সিবিআই আধিকারিকের। কিন্তু ওই বাড়ির এক মহিলা সদস্য বেরিয়ে এসে জানান যে রহমান বাড়িতে নেই। তখন সিবিআই আধিকারিক ওই পরিবারের সদস্যের নামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নোটিস ধরিয়ে দেন। ঠিক তখনই আর এক মহিলা সদস্য প্রায় খামচে ওই কাগজটি নিজের হাতে নেন।তার পর কুটি কুটি করে ছিঁড়ে ফেলে দেন মাটিতে। অকস্মাৎ এবং এত দ্রুত ওই ঘটনা ঘটে যে প্রায় চমকে যান আধিকারিকরাও। যদিও রহমানের খোঁজ না পেয়ে ফিরে যান তাঁরা।

Advertisement

সরবেড়িয়া-আগরহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জিয়াউদ্দিন মোল্লা-সহ শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ একাধিক লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। সোমবার তাঁদের কলকাতার সিবিআই দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তার মধ্যে সিবিআইয়ের একটি দল সরবেড়িয়া এলাকায় যায়।

গত ৫ জানুয়ারি রেশন মামলার তদন্তে শাহজাহানের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। কিন্তু ইডির আধিকারিকদের উপরে হামলার অভিযোগ ওঠে শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে। ওই দিনের ঘটনায় জিয়াউদ্দিন-সহ আরও কয়েক জন নেতা সিবিআইয়ের সন্দেহের তালিকায় ছিলেন। সূত্রের খবর, সে দিনের ঘটনায় তাঁদের প্রত্যেকের কী ভূমিকা ছিল, জিজ্ঞাসাবাদে সেটা জানতে চাইছেন সিবিআই আধিকারিকেরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement