বাঁ দিক থেকে অজিত মাইতি এবং শিবু হাজরা। —ফাইল চিত্র।
সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা অজিত মাইতিকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল বসিরহাট মহকুমা আদালত। অন্য দিকে, সন্দেশখালির একটি ঘটনায় জামিন মঞ্জুর হয় শিবুপ্রসাদ হাজরা ওরফে শিবুর। যদিও তাঁর আইনজীবী বলেন, ‘‘৩৯ নম্বরের অন্য আর একটি মামলায় শিবু হাজরাকে ছয় দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।’’
উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির ঝুপখালি এবং সংলগ্ন এলাকায় উত্তেজনার মধ্যে বৃহস্পতিবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বেড়মজুর। সেখানকার স্থানীয় তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির বাড়িতে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। ‘পলাতক’ তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের ভাই সিরাজউদ্দিনের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। সেই অজিতকে শনিবার গ্রামবাসীদের একাংশ তাড়া করেন। প্রাণ বাঁচাতে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে ঢুকে পড়েন অজিত। নিজেকে প্রায় চার ঘন্টা ওই বাড়িতে বন্দি করে রেখেছিলেন তৃণমূল নেতা। শেষে পুলিশ এসে তাঁকে আটক করে। রবিবারই তাঁকে সাংগঠনিক দায়িত্ব দিয়েছিল শাসকদল। সোমবার অজিতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই সঙ্গে দলের পদ থেকেও সরানো হয় বলে জানিয়ে দেয় তৃণমূল। অন্য দিকে, অজিত জানান, এক সময় তাঁকে তৃণমূলে যোগ দিতে বাধ্য করিয়েছিল শাহজাহান বাহিনী। তিনি আর দলের কোনও পদে থাকতে চান না।
অন্য দিকে, শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দারকে আগেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ন্যাজাট থানা অঞ্চল থেকে শিবুকে পাকড়াও করা হয়। ওই দু’জনের বিরুদ্ধেই গণধর্ষণের মামলা রুজু হয়েছে।
শিবুর সঙ্গে একই দিনে জামিন পাওয়ার পর ‘দ্বিতীয় বার’ গ্রেফতার হন সন্দেশখালির বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহ। অশান্ত সন্দেশখালিতে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সোমবার সেই বিকাশকেও আরও দু’দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বসিরহাট মহকুমা আদালত।