নিজস্ব চিত্র
কয়েক মাস আগেই যে জায়গা ছিল রাজ্য রাজনীতির ভরকেন্দ্রে, ভবানীপুর উপনির্বাচনের আগে আবারও উঠে এলে সেই নাম। নন্দীগ্রাম।
ভবানীপুরের উত্তাপ ছুঁয়ে দিল আন্দোলনের মাটিকে। শুক্রবার কলকাতার আলিপুরে গিয়ে ভবানীপুর উপনির্বাচনের জন্য যখন মনোনয়নপত্র জমা দিলেন মমতা, তখন নন্দীগ্রামে চলল প্রার্থনা, পুজোপাঠ। রেয়াপাড়ার শিবমন্দিরে মমতার জয় কামনা করলেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের দাবি, ‘‘নন্দীগ্রামের জবাব ভবানীপুরেই ফিরিয়ে দেবেন মমতা।’’
নন্দীগ্রামে ভোটযুদ্ধে নামার পর রেয়াপাড়ার শিবমন্দির এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে ছিলেন মমতা। হলদিয়ায় মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে রেয়াপাড়ার মন্দিরেই পুজো দিতে গিয়েছিলেন তিনি। এ বারেও ভোটে নামার আগে তাঁর নামে পুজোর ফুল চড়ল সেই মন্দিরে। নন্দীগ্রাম দু’নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মহাদেব বাগ শুক্রবার পুজোর আয়োজন করেন। তাঁর কথায়, “জমি আন্দোলনের ধাত্রীভূমি নন্দীগ্রাম সর্বদাই মমতার পাশে আছে। তিনি বিপুল ভোটে জিতবেন। এই কামনা করেই তাঁর নামে পুজো দেওয়া হয়েছে।’’
রেয়াপাড়া শিব মন্দিরে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি শুক্রবার গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে গণেশ মন্দিরেও পুজো দেওয়া হয়। এ ছাড়া গোটা নন্দীগ্রাম জুড়েই একাধিক মন্দির ও মসজিদে দলনেত্রীর জন্য প্রার্থনা করা হয় বলেও জানিয়েছেন মহাদেব। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুরে প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা করলেন। তাঁর মঙ্গল কামনা করে রেয়াপাড়া শিবমন্দিরে এবং গণেশ মন্দিরে প্রার্থনা করলাম। দিদি যাতে রেকর্ড ভোটে জিতে মানুষের সেবায় ব্রতী হতে পারেন, সেই কামনা করেই পুজো দেওয়া হল।’’