ইমাম নুহুল আমিন শেখ।
তাঁকে আনা হয়েছিল বিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তিনিই বিয়েটা রুখে দিলেন। কারণ, পাত্রী নাবালিকা।
তিনি উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার ইমাম হাফেজ মহম্মদ নুহুল আমিন শেখ। শুক্রবার রাতে বাগদার হামকুড়া গ্রামে বছর চোদ্দোর এক ছাত্রীর ‘বিয়ে পড়ানো’র জন্য তাঁকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু পাত্রীকে দেখেই সন্দেহ হয় ইমামের। জন্মের শংসাপত্র দেখতে চান। ছাত্রীর পরিবার প্রথমে তা দেখাতে চায়নি। শেষে ইমামের কঠোর অবস্থান দেখে তাঁরা বাধ্য হন। ইমাম সাফ জানান, ‘‘বিয়ে পড়াতে পারব না। মেয়ের আঠেরো বছর হয়নি। আইনবিরুদ্ধ কাজ করব না।’’
গাঙ্গুলিয়ার বাসিন্দা, ওই ইমাম শুধু আপত্তিই জানাননি, নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দেওয়া যে উচিত নয়, সে কথাও জানান ওই পরিবারকে। ইমামের উদ্যোগে খুশি প্রশাসনও। বিডিও শান্তনু ঘোষ খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, ‘‘ইমামকে তাঁর কাজের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছি। তাঁকে অনুরোধ করেছি, তিনি যেন অন্য ইমামদেরও নাবালিকার বিয়ে না-দেওয়ার জন্য বোঝান।’’ নুহুল আমিন বাগদা ব্লকের ইমাম ও মোয়াজ্জেম সংগঠনের সভাপতিও। তিনি বলেন, ‘‘নাবালিকা-বিয়ে যাতে না হয়, তা সব ইমামকেই বোঝানো হবে।’’
পুলিশ জানায়, মেয়েটির তার বাড়ি বনগাঁয়। হামকুড়ায় মামাবাড়ি। একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মামাবাড়ি এসেছিল নবম শ্রেণির ছাত্রীটি। সেখানেই তার বিয়ে ঠিক হয়। মেয়েটির বাবা পেশায় দিনমজুর। তিনি প্রশাসনকে মুচলেকা দিয়ে জানান, মেয়ের ১৮ বছর না-হলে বিয়ে দেবেন না। ছাত্রী জানিয়েছে, এখন শুধু পড়াশোনা। তাকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন প্রশাসন।