মৃত ছাত্র অসমের বাসিন্দা। ফাইল চিত্র।
খড়্গপুর আইআইটিতে ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকায় ক্ষোভপ্রকাশ করল কলকাতা হাই কোর্ট। এই ঘটনা আত্মহত্যা না প্ররোচনা, বৃহস্পতিবার তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিল আদালত।
আদালতের নির্দেশ, গত ফেব্রুয়ারি মাসে ওই ছাত্রকে হেনস্থা করা হয়েছিল, এ কথা জেনেও আইআইটি কর্তৃপক্ষ ও ওয়ার্ডেনরা কী পদক্ষেপ করেছিলেন, তা জানাতে হবে। এ নিয়ে আইআইটি ডিরেক্টরকে রিপোর্ট পেশ করতে হবে হাই কোর্টে।
বিচারপতি রাজশেখর মান্থার পর্যবেক্ষণ, এই ভাবে হেনস্থা বা র্যাগিং একটা ব্যাধি। দেশের উৎকৃষ্ট মানের একটি প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের নিয়ে এই মামলা। প্রমাণিত হলে কড়া সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। হাই কোর্টের পূর্ব নির্দেশ মতো বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার তদন্তের রিপোর্ট জমা দেন। আদালত ফের তাঁকে ১০ দিনের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে।
হাই কোর্ট জানায়, সব ঘটনা খতিয়ে এই মৃত্যুর তদন্ত করবেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। আগামী সোমবারের মধ্যে ফরেন্সিকের রিপোর্ট তিনি সংগ্রহ করবেন। আগামী ২২ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ অক্টোবর খড়্গপুর আইআইটির হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় অসমের বাসিন্দা ফাইজ়ান আহমেদের ঝুলন্ত দেহ। বিটেক মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন তিনি। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, আত্মহত্যা নয়, তাঁকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় সিআইডি কিংবা বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন মৃতের বাবা সেলিম আহমেদ। সেই আর্জি নিয়ে তিনি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। পরিবারের অভিযোগ, র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছেন ওই ছাত্র।