NEET

পরীক্ষার্থীর কোভিড, নিট দেবেন কী ভাবে

করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেওয়া কতটা সুরক্ষিত তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

আর্যভট্ট খান

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:১১
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনা পরিস্থিতিতে সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেন এবং সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা হওয়া উচিত কি না সেই নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের সংঘাত আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।

Advertisement

করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেওয়া কতটা সুরক্ষিত তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কোনও পরীক্ষার্থী করোনা-আক্রান্ত হলে তিনি কী ভাবে পরীক্ষা দেবেন উঠেছে সেই প্রশ্নও। এক নিট পরীক্ষার্থীর পরীক্ষার আগে করোনা-আক্রান্ত হওয়ায় সেই প্রশ্ন জোরালো হল।

দুর্গাপুরের কাছে দুবচুরুলিয়া গ্রামের এক নিট পরীক্ষার্থী কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন বলে তার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। ওই পরীক্ষার্থীর বাবা জানিয়েছেন, এই অবস্থায় কী করবেন সেই নিয়ে তাঁরা দিশাহারা। বিষয়টি নিয়ে তিনি দুর্গাপুরের এসডিও এবং মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে চিঠিও লিখেছেন। তবে রাত পর্যন্ত কোনও সমাধান সূত্র বেরোয়নি বলেই খবর। সূচি অনুযায়ী, আগামী রবিবার নিট পরীক্ষা হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: প্রদেশ কংগ্রেসের ভাগ্যে ফের ‘পরিযায়ী’ সভাপতি

আরও পড়ুন: মস্কোয় দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ।। আগে সেনা সরাক চিন: জয়শঙ্কর

ওই পরীক্ষার্থীর বাবা জানিয়েছেন, তাঁর এবং ছেলের ৪ সেপ্টেম্বর জ্বর আসে। পরীক্ষায় তাঁর এবং তাঁর ছেলের করোনা ধরা পড়েছে। সামান্য জ্বর বাদে আর কোনও উপসর্গ ছিল না বলে তাঁদের দু’জনকেই বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেয় জেলা স্বাস্থ্য দফতর।

ওই পরীক্ষার্থীর বাবা জানান, ছেলের উপসর্গ নেই বলে তিনি পরীক্ষা দিতে চান বলে জানান। সেই মতো যে স্কুলে তাঁর ছেলের সিট পড়েছে সেই দুর্গাপুরের ডিএভি মডেল স্কুলে যোগাযোগ করেন। তিনি বলেন, “স্কুল থেকে জানায় পরীক্ষার সেন্টারে আইসোলেশন ঘর আছে কিন্তু সেটা করোনা রোগীদের জন্য নয়। পরীক্ষা দিতে এসে থার্মাল চেকিং করে যদি দেখা যায় কোনও পরীক্ষার্থীর শরীরের তাপমাত্রা বেশি তাঁরাই শুধু ওই আইসোলেশন ঘরে পরীক্ষা দিতে পারবেন। করোনা পজ়িটিভ নিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার নির্দেশিকা নেই।” এই নিয়ে ডিএভি মডেল স্কুলের অধ্যক্ষ পাপিয়া মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। এসএসএস-এরও উত্তর দেননি।

ওই পরীক্ষার্থী বলেন, “আমি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর এক বছর কোথাও ভর্তি না হয়ে নিটের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। কোচিং সেন্টারে পড়েছি। পরীক্ষা যদি তাড়াহুড়ো করে না হত তা হলে সুস্থ হয়ে পরীক্ষা দিতে পারতাম।” পরীক্ষার্থীর বাবা বলেন, “আমার ছেলের বা আমার ছেলের মতো করোনা-আক্রান্তদের যদি অন্য কোনও তারিখে নিট পরীক্ষার ব্যবস্থা করা যায় তা হলে এই বছরটা নষ্ট হয় না।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement