অখিলের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ বিজেপি বিধায়কদের। ফাইল চিত্র।
‘‘আমি ক্ষমা চেয়ে বির্তকের শেষ চাইছি। কিন্তু নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে এই বির্তক বাঁচিয়ে রাখতে চাইছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।’’ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে কেন্দ্র করে নিজের বিতর্কিত মন্তব্য প্রসঙ্গে এমনটাই বললেন মন্ত্রী অখিল গিরি। সোমবার বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দিতে এসেছিলেন তিনি। রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করার জন্য অখিলকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের দাবিতে বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়কেরা। অধিবেশন কক্ষেই বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন অখিল। তৃণমূল পরিষদীয় দলের তরফে তাঁকে সংযত হতে বললে চুপ করে যান তিনি। অধিবেশনের পরে বিজেপির বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতাকে দায়ী করেন রাজ্যের কারামন্ত্রী।
অখিল বলেন, “আমি মাননীয়া রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি। বিতর্ক শুরুর সময়েই আমি প্রকাশ্যে তাঁর কাছে ক্ষমা চেয়েছি। তাই আমি যখন ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি, তখন বিতর্কের অবসান হোক।” এরপরেই তিনি আরও বলেন, “কিন্তু বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু এই বিতর্কের অবসান করতে চাইছেন না। তিনি তাঁর নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে এই বিষয়টিকে একটি ইস্যু করে তুলেছেন। নিজের স্বার্থে রাষ্ট্রপতি সংক্রান্ত বিতর্ক বজায় রাখতে চাইছেন। বিধানসভায় দলীয় বিধায়কদের নিয়ে নানাভাবে সরব হয়ে অধিবেশনের কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছেন।” তাঁর এমন আক্রমণের জবাব দিয়েছেন বিরোধী দলনেতাও। তিনি বলেছেন, “অখিল গিরি কখনওই রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে অবমাননা প্রসঙ্গে ক্ষমা চাননি। তাই আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাচ্ছি যিনি রাষ্ট্রপতিকে এমন কুরুচিকর আক্রমণ করে অপমান করেছেন তাঁকে যেন তিনি বরখাস্ত করেন।” সঙ্গে তার আরও সংযোজন, “যতদিন না অখিল গিরিকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করা হবে, রাষ্ট্রপতির সম্মানের বিষয়টি নিয়ে আমরা সরব থাকব।” প্রসঙ্গত, অখিলের বিরুদ্ধে বিজেপি পরিষদীয় দলের তরফে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে মুলতুবি প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়। কিন্তু বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন বলে, সেই মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ করে দেন স্পিকার। যার ফলস্বরূপ কিছুটা হলেও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন রাজ্যের কারামন্ত্রী।