প্রতীকী ছবি
স্ত্রীকে খুন করে মাটিতে মৃতদেহ পুঁতে তার উপর সিমেন্টের ঢালাই করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক টোটো চালকের বিরুদ্ধে। পুলিশ ঢালাই ভেঙে মাটি খুঁড়ে দেহ তুলেছে। তবে শুক্রবার রাত পর্যন্ত পুলিশ তাকে ধরতে পারেনি।
পুলিশ জানায়, মৃতার নাম মাম্পি চক্রবর্তী, বয়স আনুমানিক সাতাশ বছর। বাপের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সোদপুরে। বৃহস্পতিবার নদিয়ার ধানতলা থানার শঙ্করপুর ত্রিনাথতলায় একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির মাটি খুঁড়ে তাঁর পচাগলা দেহ তোলা হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, অন্তত দিন পনেরো আগে তাঁকে খুন করা হয়েছিল। মাস পাঁচেক আগে তাঁর বিয়ে হয়েছিল স্থানীয় টোটো চালক রবীন্দ্রনাথ রায়ের সঙ্গে। তার একাধিক বিয়ে। প্রথম পক্ষের স্ত্রীকে সে বাড়ি থেকে বার করে দিয়েছে। তাদের নাবালক ছেলে বাবার সঙ্গেই থাকত। সে বাবাকে খুন করতে দেখেছে, কিন্তু ভয়ে কাউকে কিছু বলেনি বলে পুলিশের দাবি।
তদন্তে পুলিশ জেনেছে, কিছু দিন আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গন্ডগোল শুরু হয়। সম্ভবত তার জেরেই স্ত্রীকে খুন করে ওই টোটো চালক। তাদের বাড়ির পাশে ফাঁকা জমিতে নতুন ঘর উঠছে। সেখানে শৌচাগার করার জায়গায় দেহ পুঁতে তার উপরে সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করে দেওয়া হয়।
কিন্তু রবীন্দ্রনাথ নিজের বিপদ নিজেই ডাকে। স্থানীয় সূত্রের দাবি, এক পরিচিতের কাছে একটি পুরনো মোটরবাইক বিক্রি করেছিল সে। তার টাকা নিতে গিয়ে মত্ত অবস্থায় সে স্ত্রীকে খুন করে পুঁতে দেওয়ার কথা বলে ফেলে। এর পরেই বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। রানাঘাট ২-এর বিডিও খোকন বর্মণ বলেন, “আমরা যত দূর জেনেছি, লোকটির তিনটি বিয়ে। তার ছেলের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, স্ত্রীকে মেরে মাটিতে পুঁতে দিয়েছিল সে।” পুলিশ মৃতদেহ তুলে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করিয়েছে। অভিযুক্ত যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। অভিযুক্তের নাবালক ছেলে তার ঠাকুর্দার কাছে রয়েছে।