— প্রতীকী ছবি।
পণের দাবিতে অত্যাচারের শিকার হয়ে গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানার কুমারপুকুরে। শনিবার অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে পণের দাবিতে বধূ নির্যাতন এবং খুনের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। আদালত ধৃতকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।
বছর ছয়েক আগে গলসি থানার জয়কৃষ্ণপুরের বাসিন্দা বুদ্ধদেব বাগের মেয়ে ঝুমার সঙ্গে কুমারপুকুরের সঞ্জীব বাগদির বিয়ে হয়। ভিটে বিক্রি করে বুদ্ধদেব মেয়ের বিয়ের পণ দিয়েছিলেন। তার পর থেকে আপাতদৃষ্টিতে ঠিকই চলছিল ঝুমা, সঞ্জীবের সংসার। তাঁদের একটি পাঁচ বছরের ছেলেও আছে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই ঝুমার উপর বাপের বাড়ি থেকে আরও টাকা আনার জন্য চাপ দেওয়া হত। নিয়মিত করা হত মারধরও। সংসার এবং সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে ঝুমা তা সহ্য করতেন। বাপের বাড়ি থেকেও মিটমাট করে নেওয়ার পরামর্শই দেওয়া হত ঝুমাকে। কিন্তু অত্যাচার ক্রমশ বৃদ্ধি পায়।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বুদ্ধদেব মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন পান। জানানো হয়, ঝুমা অসুস্থ হয়ে পুরষা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি। তড়িঘড়ি হাসপাতালে গেলে বুদ্ধদেব জানতে পারেন, মৃত্যু হয়েছে মেয়ের। এর পরেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বুদ্ধদেব। মেয়ের মৃত্যুর পিছনে তিনি শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারকেই দায়ী করেছেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে পণের দাবিতে বধূ নির্যাতন এবং খুনের ধারায় মামলা রুজু করে থানা। তার পরেই কুমারপাড়ার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত স্বামীকে। শনিবার সঞ্জীবকে আদালতে তোলা হয়। সেখানে বিচারক ধৃতকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।