মঞ্চে আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর, তবু উঠল না অনশন

মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস সত্ত্বেও বুধবার অনশন তোলেননি চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের তরফে তানিয়া শেঠ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আসায় আমরা কৃতজ্ঞ। রাতে মিটিং করব। আশা করছি, বৃহস্পতিবার একটা সদর্থক সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৯ ০৩:২৬
Share:

অনশন-মঞ্চে চাকরিপ্রার্থীদের মুখোমুখি মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক

এসএসসি-র পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কর্মপ্রার্থী অনশনকারীরা তাঁদের সমস্যা মেটাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন। অনশনের ২৮তম দিনে অনশন-মঞ্চে হাজির হয়ে মমতা আশ্বাস দিলেন, ‘‘আমার পুরোপুরি সহমর্মিতা আছে আপনাদের প্রতি। আমাকে বিশ্বাস করতে পারেন। অনশন তুলে নিন।’’

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস সত্ত্বেও বুধবার অনশন তোলেননি চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের তরফে তানিয়া শেঠ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আসায় আমরা কৃতজ্ঞ। রাতে মিটিং করব। আশা করছি, বৃহস্পতিবার একটা সদর্থক সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।’’

বুধবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ অনশন-মঞ্চে পৌঁছন মমতা। অনশনকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পরে আমি কিছু ঘোষণা করতে পারি না। তাতে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হবে। ভোট পর্ব মিটতে মে গড়িয়ে যাবে। জুনের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। জুনের প্রথম সপ্তাহে আপনাদের কমিটির সদস্যেরা পার্থদা (শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়)-র কাছে যান। কথা বলে দেখুন, কী ভাবে সমাধান করা যায়।’’

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

মুখ্যমন্ত্রী জানান, দেখতে হবে, যাঁরা মেধা-তালিকায় আছেন, তাঁরা যেন কোনও ভাবে বঞ্চিত না-হন। ‘‘যদি দেখি দাবি যথার্থ, তা হলে আমি কোনও রাজনৈতিক দল দেখি না,’’ বলেন মমতা। তিনি জানান, এসএসসি-র চাকরির সুযোগ বাড়াতে আইন পরিবর্তন করা যেতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আপনারা অনেক কষ্ট করেছেন। তবে যা-ই করা হোক, পলিসি মেনে করতে হবে।’’

মুখ্যমন্ত্রী চলে যাওয়ার পরে কিছু অনশনকারী অনুযোগ করেন, ‘‘শূন্য পদ আপডেট করলেই যে আমাদের চাকরি হয়, সেটা মুখ্যমন্ত্রীকে বলার সুযোগ পেলাম না।’’ অনশনকারীরা এ দিন বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রীর তৈরি করে দেওয়া পাঁচ সদস্যের কমিটির কাছে অভিযোগপত্র জমা দেন। মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা দিয়ে পাশ করা কিছু প্রার্থীও এ দিন অনশনে বসেন।

নতুন কোনও ঘোষণা না-করেও মুখ্যমন্ত্রী অনশনকারীদের সমস্যার সুরাহা করতে পারতেন বলে মনে করছে বামফ্রন্ট। ফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, ‘‘শিক্ষামন্ত্রী দীর্ঘদিন বিষয়টি নিয়ে টালবাহানা করেছেন। এখন মুখ্যমন্ত্রী গিয়ে নির্বাচনী বিধির কারণ দেখাচ্ছেন। নির্বাচন কমিশনের মতামত জেনে নিয়েই রাজ্য সমস্যার সুষ্ঠু সমাধানসূত্র বার করতে পারত।’’

বিমানবাবুর যুক্তি, নির্বাচন ঘোষণার অনেক আগেই এসএসসি-র প্যানেলভুক্ত চাকরিপ্রার্থীরা একাধিক চিঠি লিখেছেন। চাকরিপ্রার্থীদের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’র মনোভাব ছেড়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলার আর্জি জানিয়ে এ দিন মুখ্যমন্ত্রীকে ফের চিঠি দেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। বাম ছাত্র-যুবকেরা আজ, বৃহস্পতিবার ‘বেকারি-বিরোধী দিবস’-এর কর্মসূচিতে এসএসসি-র প্রার্থীদের দাবিকে অগ্রাধিকার দিয়ে পথে নামবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement