কল্যাণপুর উচ্চ বিদ্যালয়
ছাত্রস্বার্থে ফের কম্পিউটার শিক্ষা চালু করার চেষ্টা হচ্ছে
১৯৫০ সালে মাত্র ১০০ জন ছাত্রকে নিয়ে পথচলা শুরু হয়েছিল এই স্কুলের। পানিত্রাস উচ্চ বিদ্যালয়ের তত্কালীন প্রধান শিক্ষক শরত্চন্দ্র মিত্র অবসরকালীন তাঁর সমস্ত পাওনা দিয়ে এই স্কুলের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ধীরে ধীরে স্কুল আজকের অবস্থায় পৌঁছেছে। ১৯৯৮ সালে স্কুলটি উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে উন্নীত হয়েছে। শিক্ষার বিকাশে সুস্থ শরীর ও মনের ভূমিকা অপরিসীম। তাই আমাদের স্কুলে শিক্ষার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক চর্চারও উপরেও যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
মানস কুমার মণ্ডল
প্রধান শিক্ষক
এটা স্কুলের কাছে অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে, আমাদের স্কুলের মেয়েরা জেলাভিত্তিক ফুটবলে অংশগ্রহণ করে। খেলাধুলা ছাড়াও স্কুলে পড়ুয়াদের মার্গসঙ্গীতের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। পড়াশোনার পাশাপাশি স্কুলের বাইরেও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও অন্য প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে যোগ দেয় ছাত্রছাত্রীরা। ছাত্রছাত্রীদের এই মানসিকতা তৈরির ক্ষেত্রে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অবদান রয়েছে যথেষ্ট। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সম্পর্কও অত্যন্ত মধুর। কারণ, ছাত্রছাত্রীদের মনে শিক্ষক সম্পর্কে ভয়-ভীতি থাকলে পড়াশোনার ক্ষেত্রে তা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। স্কুলের বহু ছাত্রছাত্রীই বর্তমানে সমাজের নানা পেশার সঙ্গে জড়িয়ে আছে। এতে স্কুলের গৌরব বেড়েছে। তবে স্কুলের অনেক সাফল্যের পাশাপাশি সমস্যাও রয়েছে। যেমন ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্কুলে কম্পিউটার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু পরিকাঠামোর অভাবে তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফের তা চালু করার চেষ্টা চলছে। স্কুলের উন্নতিতে শিক্ষকদের পাশাপাশি গ্রামবাসীরাও যথেষ্ট সজাগ এবং উত্সাহী। যে কোনও সমস্যায় তাঁদের সহযোগিতা বাধাবিপত্তির মধ্যেও আমাদের এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে।
• ছাত্রছাত্রী: ১০৮৩ জন। • শিক্ষক-শিক্ষিকা: ২৮ জন। • পার্শ্বশিক্ষক: ৬ জন।
নুর ইসলাম বাগ।
প্রাক্তনী
২০০৪ সালে আমি এই স্কুল থেকে পাশ করি। বর্তমানে আমি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের কার্ডিওলজি ইউনিটের হাউস ফিজিশিয়ান হিসাবে কর্মরত। আজকে যে জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি সে জন্য স্কুলই আমাকে তৈরি করে দিয়েছে। দেখেছি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ছাত্রদের প্রতি সস্নেহ শাসন এবং একইসঙ্গে তাদের পড়াশোনার প্রতি নজরদারি। তখন অনেক সময় তাঁদের সেই খবরদারিতে মাঝেমধ্যে বিরক্ত হতাম। আজ বুঝতে পারি মাস্টারমশাইদের সেই নজরদারি একজন ছাত্রের জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তার পথ চলার ক্ষেত্রে কতটা সহায়ক হতে পারে। তাঁদের হাত ধরেই আজ আমি চিকিত্সক। বর্তমানের ছাত্রছাত্রীদের কাছে আমার বার্তা, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখ। তাঁরা আমাদের জীবনের সঠিক পথপ্রদর্শক। জীবনের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে তাঁরাই সাহায্য করবেন। তাই আমার স্কুলের জন্য আমি গর্বিত।
ছবি: সুব্রত জানা।