প্রতীকী ছবি।
গাড়ি রাখতে না দেওয়া নিয়ে প্রতিবাদ করায় গত বুধবার কলকাতার কালীঘাট রোডে আক্রান্ত হয়েছিলেন বাবা ও ছেলে। অন্য একটি ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিনা পয়সায় পানমশলা চেয়ে না পাওয়ায় এক ব্যবসায়ী ও তাঁর বাবার মাথা ফাটিয়ে দিল দুষ্কৃতীরা। হাওড়ার চ্যাটার্জিহাটের সাঁতরাগাছি মোড়ের দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে স্থানীয় চক্রবেড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে। এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত অমিতাভ সিংহ নামে এক যুবককে অবশ্য শুক্রবারই গ্রেফতার করে হাওড়া পুলিশ। আর এক জনের খোঁজ চলছে।
গত মাসেই জগাছায় এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, গত কয়েক মাস ধরেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দুষ্কৃতীরা। তোলা কিংবা বিনামূল্যে জিনিসপত্র না দিলেই ব্যবসায়ীদের মারধর করা হচ্ছে, খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাতে এ ভাবে বিনা পয়সায় পানমশলা চাইলে দুষ্কৃতীদের দাবির প্রতিবাদ করেন মনোহারী সামগ্রীর ব্যবসায়ী সঞ্জীব কুমার। দুষ্কৃতী রড দিয়ে তাঁকে পেটায়। এক দুষ্কৃতী নিজের হাতের লোহার বালা দিয়ে তাঁর মাথায় ও মুখে বার বার আঘাত করে। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে প্রহৃত হন সঞ্জীবের বাবাও। তাঁর মাথায় চারটি সেলাই পড়ে। সঞ্জীবের মাকেও গালিগালাজ করে খুনের হুমকি দেওয়া হয়।
শুক্রবার সঞ্জীব বলেন, ‘‘ওরা প্রতিদিনই বিনা পয়সায় জিনিসপত্র নিয়ে যায়। আমার মাথায় ছ’টি সেলাই পড়েছে।’’
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ফাঁড়ি সামনে থাকলেও পুলিশের দেখা মেলেনি। ফাঁড়ির সামনেই একটি ক্লাবে ওই দুষ্কৃতীদের ঠেক। বৃহস্পতিবার রাতেই আক্রান্ত যুবক চ্যাটার্জিহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ অফিসার বলেন, ‘‘ওটা তো এমন কিছু ঘটনা নয়। পানমশলা কেনা নিয়ে দু’পক্ষের মারপিট হয়েছে। তোলাবাজির অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’