গোটা ঘটনায় দোষারোপ পাল্টা দোষারোপের পালা চলছেই। —নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে দলবদল ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা হাওড়ার শিবপুরে। দফায় দফায় দুই দলের মধ্যে রীতিমতো সংঘর্ষ বেধে যায় সেখানে। তাতে বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আহতদের মধ্যে এক জনের অবস্থা গুরুতর। হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৩ জানুয়ারি দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে হাওড়া ময়দানে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেন বেশ কিছু নেতা। সেই নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই উত্তেজনার পারদ চড়ছিল। শুক্রবার রাতে উমাচরণ বসু লেনে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে তা নিয়ে ঝামেলা বেধে যায়। বচসা থেকে ক্রমশ হাতাহাতি এবং ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। তাতে ৩ জন আহত হন।
তবে শনিবার সকালেও সেই ঝামেলার রেশ কাটেনি। বরং সুজিত চৌধুরী নামের এক তৃণমূল কর্মীর উপর একদল লোক চড়াও বলে অভিযোগ। বিজেপির লোকজনই এই হামলা চালায় বলে অভিযোগ তৃণমূলের। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুজিতকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় তাঁর। এমনকি হাতে ভোজালির কোপও মারা হয়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে যায় শিবপুর থানার পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যায়নি।
এ নিয়ে প্রশ্ন করলে যদিও তৃমমূলের উপরই দোষ চাপাতে দেখা যায় বিজেপি সদরের সভাপতি সুরজিৎ সাহসকে। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যোগদানের প্রবণতা বেড়ে যাওয়াতেই পরিকল্পনামাফিক তাঁদের উপর হামলা চালাচ্ছেন জোড়াফুল শিবিরের লোকজন। অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে শিবপুর থানা ঘেরাও করার হুমকিও দেন তিনি।
তবে বিজেপিই গুন্ডামি করছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন তৃণমূল নেতা শ্যামল মিত্র। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি গুন্ডামি করছে। নতুন যারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছে, তারা তৃণমূল কর্মীদের হুমকি দিচ্ছে। বিজেপিতে যোগদান না করলে মারধরের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।’’
ভোটের আগে দলে দলে তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যোগ দেওয়া নিয়ে এমনিতেই তেতে রয়েছে রাজনৈতিক পরিস্থিতি। এমন অবস্থায় হাওড়ার ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে। ওই এলাকায় আপাতত পুলিশ টহল দিচ্ছে।